স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকলে কোনও অবস্থাতেই ফেরানো যাবে না রোগীদের। মঙ্গলবার এই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। কোনও বেসরকারি হাসপাতাল বা নার্সিংহোম যদি স্বাস্থ্যসাথী কার্ড গ্রহণ না করে সেক্ষেত্রে কড়া পদক্ষেপ নেবে রাজ্য সরকার।প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও রোগী ফিরিয়ে দিচ্ছে বহু বেসরকারি হাসপাতাল, এমনই ভুরি ভুরি অভিযোগ উঠছিল। তাই রোগী ফেরানো রুখতে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরকে। বিষয়টি নিয়ে একপ্রস্থ বৈঠক করেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। এরপরেই একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়, যে হাসপাতালগুলিতে ১০টির বেশি শয্যা রয়েছে, সেগুলি বাধ্যতামূলকভাবে স্বাস্থ্যসাথীর আওতায় আসবে। যদি তারা কোনও রোগীকে প্রত্যাখান করে সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কেমিক্যাল এস্টাবলিশমেন্ট আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মঙ্গলবার রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘স্বাস্থ্যসাথীর রেট নিয়ে হাসপাতাল ও নার্সিংহোমগুলির কাছে আমাদের আবেদন ছিল, যাতে কাউকে ফিরিয়ে না দেওয়া হয়। তাদের রেট চার্ট নিয়েও আমরা আলোচনা করেছি। চিকিৎসার ক্ষেত্রে বেশিরভাগ প্যাকেজেই ১৫-২০ শতাংশ রেট বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
মুখ্যসচিব জানিয়েছেন , ইতিমধ্যেই ৬৭ লাখ কার্ড দেওয়া হয়েছে রাজ্যে। আরও ৮০ লাখ কার্ড দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ১৫৩৭ বেসরকারি হাসপাতাল। সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে মোট শয্যা সংখ্যা ধার্য হয়েছে ১,২২,০২৫। মুখ্যসচিব জানান, পাঁচ ধরনের চিকিৎসার ক্ষেত্রে রেট বাড়ানো হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে ICU, কার্ডিও থোরাসিক, CAPD ইত্যাদি। এমনকী সাধারণ অপারেশনের ক্ষেত্রেও ১০ থেকে ১৫ শতাংশ রেট বৃদ্ধি করা হয়েছে। আর এই রেট বৃদ্ধির কারণেই প্রায় ২০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত খরচ হবে রাজ্যের।তিনি আরও জানান, দু’কোটির বেশি পরিবার এখনও পর্যন্ত কার্ড পেয়েছে। গত ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৪ লাখ ৩৪ হাজার মানুষ এই স্বাস্থ্যসাথীর পরিষেবা নিয়েছেন।




































































































































