হোয়াটসঅ্যাপে(WhatsApp) ব্যক্তির গোপনীয়তা(privacy) লঙ্ঘিত হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়া(social media) সংস্থার বিরুদ্ধে এহেন অভিযোগ উঠেছিল আগেই। এই সংস্থার নয়া নীতি স্থগিত রাখার দাবি জানিয়ে মামলা দায়ের হয়েছিল আদালতে। সেখানেই এবার শীর্ষ আদালতের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, ‘আপনারা ট্রিলিয়ন ডলারের সংস্থা হতে পারেন তবে মানুষের গোপনীয়তা আপনাদের টাকার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’ এভাবেই কড়া সুরে ভৎসনা করে হোয়াটসঅ্যাপকে নোটিস পাঠাল দেশের শীর্ষ আদালত(Supreme Court)।
উল্লেখ্য, গত জানুয়ারি মাসে হোয়াটসঅ্যাপ তাদের নিয়মে কিছুটা পরিবর্তন আনে। সংস্থার তরফে জানানো হয়, হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর বিশেষ কিছু তথ্য ফেসবুককে দেওয়া হবে। এবং ব্যবহারকারীকে বাধ্যতামূলক সম্মতি দিতে হবে নতুন এই নিয়মে। স্বাভাবিকভাবেই সংস্থার এহেন সিদ্ধান্তে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে সাধারণ মানুষের মনে। এরপরই হোয়াটসঅ্যাপের নয়া নীতি স্থগিত করার দাবি জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন কারমান্য সিং সারিন নামের এক ব্যক্তি। এই মামলার প্রেক্ষিতে সোমবার শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে বলেন, ‘হোয়াটসঅ্যাপের তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ার ভয় পাচ্ছে সাধারণ মানুষ তাদের অনুমান একে অপরকে করা গোপন মেসেজ ফেসবুকে ফাঁস হয়ে যাবে।’এরপরই কেন্দ্রীয় সরকার ও হোয়াটসঅ্যাপ কতৃপক্ষকে একটি নোটিশ পাঠিয়ে চার সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে বলেছে দেশের শীর্ষ আদালত।
আরও পড়ুন:যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক, পরিবার চাইলে সাহায্য করা হবে: মুখ্যমন্ত্রী
সোমবার আদালতে মামলাকারী পক্ষের আইনজীবীরা অভিযোগ তোলা হয়, ইউরোপের দেশ গুলিতে হোয়াটসঅ্যাপের মে নিয়ম জারি রয়েছে তার তুলনায় ভারতে অন্য নীতি চালু করেছে এই সংস্থা এটা এক ধরনের দ্বিচারিতা। মামলাকারীর পক্ষের আইনজীবী পাল্টা দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপের আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন, ‘হোয়াটসঅ্যাপের নীতি ইউরোপ বাদে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর ক্ষেত্রে আলাদা। যেহেতু ইউরোপে এই সংক্রান্ত আইন রয়েছে তাই সেটি মেনে চলা হয়। এরপরই সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা আদালতকে জানান আইন থাকুক বা না থাকুক গোপনীয়তা মানুষের মৌলিক অধিকার।





































































































































