সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি থাকাকালীন রঞ্জন গগৈ-এর বিরুদ্ধে ওঠা ধর্ষণের অভিযোগ এবং তার বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে লোকসভায় প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। বর্তমানে রাজ্যসভার সাংসদ গগৈ এ নিয়ে আর যাই হোক আদালতে যাওয়ার পক্ষপাতী নন। তাঁর মতে, গিয়ে কোনও লাভ নেই, গিয়ে কোনও বিচার পাওয়া যাবে না।

একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের কনক্লেভের সঞ্চালক তুলে আনেন লোকসভায় তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূল সংসদ মহুয়া মৈত্রের বক্তব্যের প্রসঙ্গ। এক প্রশ্নের জবাবে পাল্টা এক গুচ্ছ প্রশ্ন তুলে গগৈ বলেন, ‘‘মামলা করে আর কী হবে। আদৌ কি বিচার পাওয়া যায় আদালতে? কে আদালতে যায় বলুন তো? আদালতে গিয়ে ঘষতে ঘষতে জুতো ক্ষয় করা ছাড়া আর কিছু হয় না।
বরং প্রাক্তন বিচারপতির প্রশ্ন , ‘আমরা যে একটা ভয়ঙ্কর সময়ে বেঁচে আছি, তা নিয়ে কি আপনার কোনও সন্দেহ আছে? যাঁদের কণ্ঠস্বর রয়েছে, কথা বলার ক্ষমতা রয়েছে, তাঁদের জন্য বিপদ অপেক্ষা করছে! সব জায়গা থেকেই হুমকি আসে, আপনারা কি এটা বোঝেন না?’ বিচারব্যবস্থায় সংস্কার জরুরি, মনে করছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি।
এরপরই মহুয়ার টুইট , ‘দেশের বিচারব্যবস্থা নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করছেন শীর্ষ আদালতের একজন প্রাক্তন বিচারপতি, যিনি আবার রাজ্যসভার মনোনিত সাংসদ। অদ্ভুত এবং হাস্যকর!’
সিএএ, এনআরসি প্রসঙ্গে রঞ্জন গগৈর মত, ‘সংসদে ওই আইন পাশ হয়েছে। আমরা রাজ্য এবং উত্তর–পূর্ব ভারতের মানুষ এই আইনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াচ্ছে।’ কৃষক আন্দোলন প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ‘রফাসূত্র মিলছে না। আমার কাছেও সমাধান নেই। যদি আইনি সমাধান চাওয়া হয়, তাহলে তা দেবে শীর্ষ আদালত।
আরও পড়ুন: তৃণমূলের মঞ্চে শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ নেতা, শীর্ষ নেতৃত্বের সামনে বিক্ষোভ কর্মী-সমর্থকদের





































































































































