বামেদের ধর্ঘটের খবর জানেই না ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল, শহরে যান চলাচল স্বাভাবিক

0
1

ছাত্র-যুবদের নবান্ন অভিযানে (Nabanna Aaijan) পুলিশের (Police) বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগে আজ, শুক্রবার ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধ (Strike) ডেকেছে বামেরা (Left)। সমর্থন করেছে কংগ্রেস (Congress)। এদিন সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়েছে হরতাল। সবার জন্য শিক্ষা, নতুন শিল্প ও চাকরির দাবিতে ১০টি বাম ছাত্র-যুব সংগঠনের নবান্ন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়।

যদিও আজ সকালে ব্যরাকপুর শিল্পাঞ্চলের (Barrackpore industrial area) ছবিটা আর পাঁচটা দিনের মতোই। এই এলাকার বিভিন্ন জুটমিলে শ্রমিকদের হাজিরা অন্যান্য দিনের মতোই। হরতালেও বিষয়ে শ্রমিকদের বক্তব্য, তাঁরা জানেনই না আজ বনধ। এখনও পর্যন্ত বনধের তেমন কোনও প্রভাব পড়েনি। কোথাও অপ্রীতিকর কোনও ঘটনার ছবি এখনও ধরা পড়েনি।

অন্যদিকে, এখন পর্যন্ত মোটের উপর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক আছে শিয়ালদহ ও হাওড়া ডিভিশনের বিভিন্ন শাখায়। শহরতলী থেকে শহরে আসার ট্রেনকে কোনওভাবে আটকায়নি ধর্মঘটীরা।

দক্ষিণ কলকাতার যাদবপুর, রাসবিহারি, হাজরা, গরিয়াহাট, টালিগঞ্জ থেকে স্বাভাবিক ছন্দেই বাস, ট্যাক্সি, অটো চলাচল করছে। অন্যান্য কাজের দিনের ছবি ধরা পড়ছে সকাল থেকে। বিভিন্ন এলাকায় দোকানপাটও ধীরে ধীরে খোলা শুরু হয়েছে।

উত্তর কলকাতা শ্যামবাজার, কলেজ স্ট্রিট, উল্টোডাঙ্গা কিংবা মধ্য কলকাতার ধর্মতলা, পার্কস্ট্রিট চত্বরেও স্বাভাবিক যান চলাচল। মানুষ সকাল থেকেই রাস্তায় বেরিয়েছে।

আরও পড়ুন:দেশ চালাচ্ছেন চারজন, হাম দো-হামারে দো!”, সংসদে কেন্দ্রকে কটাক্ষ রাহুলের

প্রশাসনের পক্ষ থেকেও তৎপরতা দেখানো হচ্ছে। শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় প্রচুর পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে, জোর করে বনধ পালানোর চেষ্টা করলে প্রশাসনের তরফে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (সদর) শুভঙ্কর সিনহা জানিয়েছেন, বনধ শহরজুড়ে ৩ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হবে।

Advt