ভাইরাল মহুয়া মৈত্র’র ভাষণ, উচ্ছ্বসিত প্রশংসা বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসুর

0
2

ফের আলোচনায় উঠে এলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। লোকসভায় দাঁড়িয়ে বলিষ্ঠ বক্তব্যের জন্য তিনি এখন সর্বস্তরে প্রশংসিত। কোনও রাখঢাক না রেখে টুইটারে তাঁকে প্রশংসা বাক্যে ভরিয়েছেন বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রাক্তন প্রধান অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসু।

জনপ্রিয় এই সামাজিক মাধ্যমে কৌশিক লিখেছেন, “কৃষি আইন, পরিযায়ী শ্রমিক এবং আর্থিক বৃদ্ধি নিয়ে মহুয়ার বক্তব্য মর্মস্পর্শী। এই ভাষণ সারা বিশ্বের সেরা সংসদীয় বক্তব্যের মধ্যে অন্যতম বলে গণ্য হবে।” মহুয়া মৈত্রর এমন উৎকর্ষ ভাষণের পরেও বিরোধিতা করতে চেয়েছিল প্রতিপক্ষ দল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা ধোপে টেকেনি। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে নিজের মতামত তুলে ধরেছিলেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ। সেই ভাষণ এখন লোকসভার গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্বজনীন। জনপ্রিয়তা লাভ করেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

কী বলেছেন মহুয়া? প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বারংবার দাবি করেছেন, দেশের নানা বিষয়ে তাঁর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার নিয়েছে ‘সাহসী’ পদক্ষেপ। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর এহেন দাবি যে নেহাতই ঠুনকো এবং ভিত্তিহীন তাই বোঝাতে চেয়েছেন ঘাসফুল শিবিরের সাংসদ। অভিযোগের সুরে তিনি বলেছেন, “কৃষকদের জন্য একজন মন্ত্রীকেও নিযুক্ত করা হয়নি। যাঁরা ৯০ দিন অনশন করছেন, তাঁদের খাদ্য, চিকিৎসা, স্বাস্থ্য ও অন্যান্য ব্যবস্থা দেখার জন্য একজন মন্ত্রীও নিয়োগ করা হল না। অথচ সুইডেনের একজন খুদে পরিবেশ আন্দোলনকর্মী বা আমেরিকার পপ স্টারের প্রতিক্রিয়ায় কার্যত সর্বস্ব দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ল ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক।”

লকডাউনের দিনগুলির কথা মনে করিয়ে দিয়ে সাংসদ বলেছেন, “২৪ ঘণ্টার নোটিসে লকডাউন ঘোষণার ‘সাহস’-এর জেরে অঅবর্ণণীয় দুর্দশা, অসংখ্য মৃত্যু ঘটল, শয়ে শয়ে মাইল হাঁটলেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। অথচ এই সরকার সেই পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য কোনও কিছুই করল না। এটাই সাহস।” সেই সঙ্গে ভারতের অর্থনীতির দৈন্য দশাকেও তুলে ধরেছেন তিনি। কেন্দ্রীয় সরকার যতই উন্নয়ের কথা বলুক না কেন, ২০২০ সালে উন্নয়নশীল দেশগুলির মধ্যে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি সবচেয়ে কম সেটা মনে করিয়ে দিয়েছেন মহুয়া মৈত্র।

Advt