ভয়াবহ তুষারধস উত্তরাখণ্ডের যোশীমঠে। এরপর সময় যতই এগোচ্ছে ততোই মিলছে দুঃসংবাদ। নন্দাদেবী হিমবাহে একটি বিশাল তুষার ধসের জেরে প্রবল ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার তপোবন এলাকার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। তপোবন বাঁধের কাছে একটি নির্মীয়মান সুড়ঙ্গে প্রায় ২০ জন কর্মী আটকে পড়েছিলেন। অবশেষে ২০ জন কর্মীর মধ্যে ১৬ জনকে উদ্ধার করল আইটিবিপি। বাকিদের উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
উত্তরাখণ্ডে হিমবাহ ভেঙে তুষারধসের ঘটনায় ৯ থেকে ১০ জনের দেহ উদ্ধার করা হল। তবে হতাহতের সংখ্যা ১০০-১৫০ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মুখ্যসচিব ওমপ্রকাশ।
ফিরল ৮ বছর আগের কেদারনাথের স্মৃতি। মেঘ ভাঙ্গা বৃষ্টিতে তুষারধস যোশীমঠে। দুপুরেই জানা গিয়েছিল, আচমকা ধৌলিগঙ্গা নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়েছিল। তৎক্ষণাৎ ৪ টি বিপর্যয় মোকাবিলা দল পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। উদ্ধারকাজে নামে আইটিবিপি এসডিআরএফ-এর জওয়ানরা। সূত্রের খবর, নিখোঁজ প্রায় ১৫০ জন। উত্তরাখণ্ড সরকার জারি করেছে হেল্পলাইন নম্বর, ৯১১৩৫২৪১০১৯৭/৯১১৮০০১৮০৪৩৭৫/৯১ ৯৪৫৬৫৯৬১৯০।
জানা যাচ্ছে, বেশ কয়েকটি হিমবাহের ক্ষতি হয়েছে। দুপুরে শুরু হয়েছিল আশেপাশের গ্রাম খালি করার কাজ। ক্ষতিগ্রস্ত ঋষি গঙ্গা জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র। চামোলি জেলার তপবনেও ক্ষয়ক্ষতি। হরিদ্বারে জলস্তর বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত।
ভেঙে গিয়েছে দুটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। হরিদ্বার, দেরাদুন, ঋষিকেশ পর্যন্ত হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, বেশ কয়েকটি হিমবাহেরও ক্ষতি হয়েছে। পর্যটকদের মধ্যে আতঙ্ক বেড়ে গিয়েছে। আতঙ্ক ছড়িয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যেও।
আরও পড়ুন : উত্তরাখণ্ডের যোশীমঠে তুষারধস, ঘটনাস্থলে বিপর্যয় মোকাবিলা দল, নিখোঁজ ১৫০