কৃষি আইনের (farm laws) প্রতিবাদে কৃষকদের লাগাতার আন্দোলন (farmers protest) নিয়ে এবার মুখ খুলল রাষ্ট্রসংঘও (united nations)। আন্দোলনকারী কৃষকদের মানবাধিকার রক্ষার প্রতি দায়িত্ব স্মরণ করিয়ে দিল রাষ্ট্রসংঘ। একইসঙ্গে কৃষক ও সরকার দুই পক্ষকেই সর্বোচ্চ সংযম দেখিয়ে ন্যায়সঙ্গত মীমাংসার পথ খুঁজতে আবেদন জানানো হয়েছে।
রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার সংক্রান্ত হাইকমি
শনারের তরফে টুইটবার্তায় কৃষক আন্দোলন নিয়ে সরকারকে বার্তা দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ভারতে এখন যে কৃষক বিক্ষোভ চলছে তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও বিক্ষোভকারীদের সর্বোচ্চ সংযম দেখানোর আর্জি জানাচ্ছি। শান্তিপূর্ণ জমায়েত এবং সবার মতপ্রকাশের অধিকারকে রক্ষা করতে হবে। সবার মানবাধিকারের নীতিতে পর্যাপ্ত শ্রদ্ধা বজায় রেখে ন্যাসঙ্গত সমাধান বের করা গুরুত্বপূর্ণ। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ, জমায়েতের স্বাধীনতা এবং অহিংসা শ্রদ্ধা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ।
এতদিন কৃষক আন্দোলন নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের নানা স্তর থেকে বিভিন্ন বার্তা আসছিল। এবার আসরে নামল রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার দফতর। যা আন্তর্জাতিক কূটনীতির প্রেক্ষাপটে যথেষ্ট তাৎপর্যবাহী। এই মুহূর্তে দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও নজর কেড়েছে ভারতের কৃষক আন্দোলন। আমেরিকা থেকে ব্রিটেন এই বিষয়ে তাদের মতামত প্রকাশ করেছে। মার্কিন পপ গায়িকা রিহানা ও সুইডিশ পরিবেশ কর্মী গ্রেটার থুনবার্গের টুইট ঘিরেও শুরু হয়েছে বিতর্ক। এই দেশের বহু সেলিব্রেটি যেমন কেন্দ্রীয় সরকারের সুরে সুর মিলিয়ে কৃষক আন্দোলনকে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে সরব হয়েছেন, তেমনি এর বিপক্ষে মতামতও গড়ে উঠেছে।
প্রসঙ্গত, নয়া তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে সত্তর দিনের বেশি সময় ধরে দিল্লি সীমানায় লাগাতার কৃষক বিক্ষোভ চলছে। কেন্দ্রীয় আইনকে কৃষক বিরোধী বলে দাবি করেছেন প্রতিবাদীরা। অন্যদিকে এই আইন কৃষক স্বার্থবাহী বলে উল্লেখ করে তা বাতিলে নারাজ মোদি সরকার। এর মাঝে সমাধান সূত্রে খুঁজতে এগারো বার কৃষক-কেন্দ্র বৈঠক হয়। মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টেও। কিন্তু সমাধান এখনও অধরা। কৃষক সংগঠনগুলি তিনটি আইন পুরোপুরি বাতিলের দাবিতে অনড়। অন্যদিকে কেন্দ্রের বক্তব্য, আইন প্রত্যাহার সম্ভব নয়। বরং আগামি দেড় বছর আইন স্থগিত রেখে কৃষকদের আপত্তির বিষয়গুলি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনতে রাজি সরকার।