সরকারের(Government) দাবি কৃষকদের(Farmer) সঙ্গে আলোচনার রাস্তা খোলা রাখা হয়েছে। অন্যদিকে জোরকদমে জারি রয়েছে কৃষকদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া। কৃষকরা যাতে দিল্লির অন্দরে প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য বিশাল ব্যারিকেড ও কাঁটাতার বিছিয়েছে পুলিশ। এদিকে দেশের প্রধানমন্ত্রী(Prime Minister) ও কৃষিমন্ত্রী(agriculture minister) কৃষকদের উদ্দেশ্যে যে আলোচনার বার্তা দিয়েছেন তার প্রেক্ষিতে কৃষকরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিল সাম্প্রতিক অবস্থায় কোনওভাবেই আলোচনা সম্ভব নয়।

সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভারতীয় কৃষক ইউনিয়নের অধ্যক্ষ মনোজিৎ সিংহ রায় বলেন, যতদিন সরকার নির্দোষ কৃষকের বিরুদ্ধে দায়ের করা এফআইআর তুলে না নিচ্ছে এবং ইন্টারনেট পরিষেবা চালু না করছে ততদিন পর্যন্ত কোনওরকম আলোচনা সম্ভব নয়। পাশাপাশি তিনি আরো বলেন, দিল্লি সরকারের কাছ থেকে ১১৫ জন কৃষকের একটি তালিকা পেয়েছি আমরা। সেখান থেকে এখনো পর্যন্ত ছয়জনের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। আমাদের তরফ থেকে একটি হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। সেখানে ফোন করে লোকজন জানাচ্ছে তাদের পরিবার এখনো নিখোঁজ। এই অবস্থায় সরকারের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন:রাজ্য সরকারি কর্মীদের 100% হাজিরের নির্দেশ, নবান্ন সূত্রে খবর
সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কৃষকদের তরফে আরও জানানো হয়েছে, কৃষকের বিরুদ্ধে দিল্লির সীমান্তে লোহার পেরেক যুক্ত পাঁচিল তোলা হয়েছে। কাঁটাতার লাগানো হয়েছে। ফলে সরকার যদি কৃষকদের বিরুদ্ধে এই মনোভাব দেখায় তাহলে সেটা কখনওই আলোচনার জন্য সঠিক অবস্থা নয়। অন্যদিকে আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এদিন গাজীপুর সীমান্তের দিকে রওনা দিয়েছিলেন ১৫ টি বিরোধী দলের সাংসদ তাদের মধ্যে ছিলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ও। যদিও দিল্লি পুলিশের তরফে গাজীপুর সীমান্তে পৌঁছনোর আগেই আটকে দেওয়া হয় তাদের।