বিজেপিকে কটাক্ষ করা একটি গান তাঁর প্রযোজিত সিনেমায়৷ তা নিয়ে কড়া আপত্তি জানালেন প্রযোজক৷ শুধু আপত্তিতেই শেষ নয়৷ অভিযোগ, পরিচালককে না জানিয়েই প্রযোজক বিজেপি’র সমালোচনা করা গানটি ছবি থেকে বাদ দিলেন৷
এই ঘটনায় তুমুল আলোড়ন৷ বিষয়টিতে রাজনীতির ছোঁয়াও লেগেছে দারুনভাবে৷ কারন একটাই এবং কারনটি সঙ্গত৷ ছবির প্রযোজকের নাম দেব৷ তৃণমূলের সাংসদ তিনি৷ বর্তমান রাজনৈতিক আবহে তাঁর ছবিতে বিজেপি’র সমালোচনামূলক গান চাইলেন না তৃণমূল সাংসদ৷ তার উপর আগামী ৭ তারিখ হলদিয়ায় প্রধানমন্ত্রী আসছেন৷ সেই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তৃণমূল সাংসদকে৷ ফলে, রাজনৈতিক মহলে নয়া কৌতূহল, তাহলে কী এবার দেব-ও ?
ওদিকে, প্রযোজক দেব-এর এই কাজে ভয়ঙ্কর ক্ষিপ্ত পরিচালক অনিকেত চট্টোপাধ্যায় ৷ ফেসবুকে একের পর এক তোপ দেগে চলেছেন৷
ছবি এখনও মুক্তি পায়নি৷ তার আগেই বিতর্কে দেব প্রযোজিত ‘হবুচন্দ্র রাজা গবুচন্দ্র মন্ত্রী’ (Habu Chandra Raja Gobu Chandra Montri)। প্রযোজক দেবের বিরুদ্ধেই ফেসবুকে তোপ দেগেছেন পরিচালক অনিকেত চট্টোপাধ্যায় ( Aniket Chattopadhyay)। অনিকেতের অভিযোগ, তাঁর অনুমতি না নিয়েই পালটানো হয়েছে “ঝড়, ঝড়, আমরা কমলা রং এর ঝড়” গানটির শব্দ।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের মে মাসে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল এই ‘হবুচন্দ্র..-র’৷ ছবির সংগীত পরিচালনা করেছেধ কবীর সুমন (Kabir Sumon)।মঙ্গলবার নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে দীর্ঘ পোস্টে পরিচালক অনিকেত চট্টোপাধ্যায় গানের কথাগুলি পোস্ট করে লিখেছেন, “হিটলারের ব্রাউন শার্টস বা বিজেপির গেরুয়া বাহিনীর মতোই তাঁর ছবির স্বৈরাচারী শাসকের বাহিনীর নাম রাখা হয়েছে ‘কমলা বাহিনী’। সেন্সরবোর্ডও তাতে আপত্তি করতে পারেনি। ছবিকে U সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রযোজক তথা তৃণমূল সাংসদ দীপক অধিকারীর মনে হয়েছিল গানের এই কথাগুলি যথেষ্ট রাজনৈতিক। পরিচালক মেনেছেন এই যুক্তি৷ কিন্তু গানের শব্দ পালটানোর বিষয়েই তাঁর আপত্তি, এমনই বলেছেন অনিকেত। তিনি তাঁর পোস্টে লেখেন, “আমাকে অন্ধকারে রেখেই গানের শব্দ পালটানো হয়েছে, কমলা বাহিনী শব্দটা তুলে দেওয়া হয়েছে। গান লেখা সুর করার আগে গীতিকার-সুরকার কবীর সুমন আমার সঙ্গে অনেক আলোচনাই করেছিলেন, এবার আর কোনও আলোচনাই নেই, শব্দ বদলে গেল। শব্দ বদলালেও সত্যিটা বদলাবে না। যে গান লেখা হয়েছিল, সে গান আমার কাছে আছে, তা ছড়িয়ে দেব, বন্ধুরা ছড়াতে সাহায্য করবেন। নিজেদের ভীরুতা, কাপুরুষতার জন্য সিনেমার গানের কথা বদলে দেওয়ার এ জঘন্য চেষ্টার মূল উদ্দেশ্য মানুষ বুঝতে পারবেন।”
অনিকেত চট্টোপাধ্যায় জানান, যদি কোনওদিন ‘হবুচন্দ্র রাজা গবুচন্দ্র মন্ত্রী’ ছবিটি মুক্তি পায় তাহলে তিনি সিনেমা হলের সামনে ধরনাও দেবেন। তাঁর আশা, ওই ধরনাতে বন্ধুরা পাশে থাকবেন৷
আরও পড়ুন-‘মারাঠি নন কন্নড় ছিলেন ছত্রপতি শিবাজী’, ঠাকরেকে তোপ কর্ণাটকের উপমুখ্যমন্ত্রীর































































































































