মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তৈরি হয়েছে মানিকচক ব্লকের ফুলহার নদীর ওপর দীর্ঘকায় ভুতনি সেতু। এই সেতুটি তৈরি হওয়ার ফলে ভুতনি এলাকার প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষের আর্থসামাজিক ব্যবস্থা বদলে গিয়েছে। এমনকী তৈরি হয়েছে নতুন ভুতনি থানা এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। যা এলাকার বাসিন্দাদের কাছে স্বপ্ন ছিল বটে। আর এতে করে এখন ভুতনি এলাকায় সর্বত্রই মুখ্যমন্ত্রী জয়গান মানুষের মুখে মুখে। ভুতনি সেতু যে এই এলাকার লক্ষাধিক মানুষের কাছে কতটা প্রভাব ফেলেছে তা এখন হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারছে বিরোধী দলগুলি। তাই ভুতনি থানা এলাকায় উন্নয়নের জোয়ারে অন্য কোন ইস্যু খুঁজে পাচ্ছে না বিরোধীরা।
ভুতনি এলাকার অধিকাংশ বাসিন্দাদের বক্তব্য, ২০১১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের সময় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ফুলহার নদীর ওপর ভুতনি সেতু তৈরি করার। আর রাজ্যের তৃণমূল সরকার গঠন হওয়ার পরই এলাকায় এই সেতুটি নির্মাণ হয়েছে। এতে করে এখন আর ভূতনিবাসীদের নৌকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার করতে হয় না। রাত বিরাতে মুমূর্ষ রোগীদের গাড়ি করে সহজেই মালদহ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যেতে পারছেন পরিবারের লোকেরা। তাই এবারও ভুতনি এলাকার শুধু মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নের হাওয়া বইছে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, সেতুটি প্রায় দুই কিলোমিটার দীর্ঘ। রাজ্য সরকার এবং উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের প্রায় ২০০ কোটি টাকা খরচ করে তৈরি হয়েছে ভুতনি সেতুটি। এই সেতুটি ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এখন এই সেতু তৈরি হওয়ার ফলে ভুতনি এলাকার প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষের জীবনযাত্রা বদলে গিয়েছে।
ভুতনি এলাকার এক কলেজ পড়ুয়া মহম্মদ সোহেল খান বলেন, “আমরা তো ভাবতেই পারিনি যে ভুতনি সেতু সত্যি তৈরি হবে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা রেখেছেন। তাই এখন আর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার করতে হয় না। এলাকার স্কুল, কলেজ পড়ুয়াদের রাত হলেও যাতায়াতের কোনও সমস্যা নেই। যার ফলে ভুতনি এলাকায় শিক্ষা ব্যবস্থায় দারুণভাবে উন্নতি হয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী মোস্তাফুর শেখ, দিলবার শেখদের বক্তব্য, “ভুতনি সেতু তৈরি হওয়ার পরে ব্যবসায় দারুণ উন্নতি হয়েছে। ভুতনি এলাকায় বহু দোকান, বাজার গড়ে উঠেছে। শুধুমাত্র যাতায়াতে সমস্যার কারণে এটি হচ্ছিল না। কিন্তু ভুতনি এলাকায় এখন এই সেতুই মানুষের জীবন-জীবিকা বদলে দিয়েছে।”
মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌড় চন্দ্র মণ্ডল বলেন, “ক্ষমতায় আসার আগেই দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা দিয়েছিলেন ভুতনি সেতুটি তৈরি করার। তারপরেই এই সেতুটি তৈরি হয়েছে। এছাড়া ভুতনি এলাকায় নতুন একটি থানা, প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরি হয়েছে। ভুতনি এলাকাটি আগে দ্বীপ হিসাবে পরিচিত ছিল। এখানে হীরানন্দপুর , উত্তর ও দক্ষিণ চন্ডীপুর এই তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। লক্ষাধিক মানুষের বসবাস এখানে। আর ভুতনি এলাকাটি মানিকচক বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। এই এলাকায় এতটাই উন্নতি হয়েছে যে বিরোধীদের প্রচার করার মতোন কোনও ইস্যু নেই। তাই এখন তৃতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখতে চাইছেন সকলে।”
আরও পড়ুন-লোভী-ভোগীদের জন্য রাস্তা খোলা, টাকা দিয়ে তৃণমূলের টিকিট বিক্রি হয় না: মমতা
 
 
 
 
 





























































































































