সুপার হাইস্পিড ফাইটার জেট তেজস মার্ক -২ এর নকসা তৈরি

0
1

সবকিছু তৈরি হয়েই আছে। এবার কাজ শুরুর অপেক্ষা। আর তার পরেই ভারতীয় বায়ুসেনায় সংযুক্ত হবে তেজস মার্ক-২ এর মতো সুপার হাইস্পিড ফাইটার জেট। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করা হয়েছিল  ভারতের নিজস্ব যুদ্ধবিমান  তেজস এমকে ওয়ান এ। এবার এর উন্নততর সংস্করণ ‘তেজস মার্ক ২’ তৈরির কাজে হাত দিতে চলেছে  রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (হ্যাল)। আগামী বছরের মাঝামাঝি তেজসের উন্নততর সংস্করণটি পেশ করা হবে এবং এই নয়া তেজসের হাই স্পিড তথা উচ্চ গতির পরীক্ষামূলক উড়ান শুরু হবে পরের বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে। তারপর ২০২৫ সালে এর উৎপাদন শুরু হবে বলে জানিয়েছেন হ্যালের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আর মাধবন।

বর্তমানে যুদ্ধবিমানের অভাবে ভুগছে বায়ুসেনা। যেখানে ৪০টি ফাইটার স্কোয়াড্রনের প্রয়োজন, সেখানে বর্তমানে মাত্র ৩০টি ফাইটার স্কোয়াড্রন রয়েছে। এক-একটি স্কোয়াড্রনে ১৮টি করে যুদ্ধবিমান থাকে। এই ঘাটতি পূরণেই ৮৩টি তেজস আসছে বিমান বাহিনীতে। এই ‘লাইট কমব্যাট এয়ারক্রাফট’টি সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত।

হ্যালের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আর মাধবন জানিয়েছেন, হাল্কা ও দ্রুতগতির যুদ্ধবিমান হিসেবে পরিচিত তেজসের এই নয়া সংস্করণ হতে চলেছে পঞ্চম প্রজন্মের আধুনিক যুদ্ধবিমান। এই নয়া ফাইটার জেট তেজস মার্ক টু’র অস্ত্রবহন ক্ষমতা, নেভিগেশন ক্ষমতা, বহুমুখী মারণ ক্ষমতা, উড়ান ক্ষমতা, অবতরণ করে দ্রুত থেমে যাওয়ার দক্ষতা সবটাই আরও বেশি করে বাড়ানো হচ্ছে। ভারতীয় বায়ুসেনার প্রয়োজনীয়তা এবং সুপারিশগুলিকে গুরুত্ব দিয়েই আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে ‘তেজস মার্ক টু’ কে। তিনি জানিয়েছেন, যেহেতু এই নয়া সংস্করণটির উৎপাদন শুরু হতে দেরি আছে তাই তেজসের বর্তমান মডেলটি অর্থাৎ ‘তেজস এমকে ওয়ান এ’ হাতে পেতে হ্যালকে ৪৮ হাজার কোটি টাকার বরাত দিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা। এই ডিল অনুসারে ৭৩টি তেজস এমকে বায়ুসেনার জরাগ্রস্ত মিগ-২১ বিমানগুলির জায়গা নেবে তেজস। ইতিমধ্যেই একাধিক পরীক্ষায় সফলভাবে উতরেছে বিমানটি। গতবছর প্রায় ২০ হাজার ফুট উচ্চতায় রাশিয়া নির্মিত ‘আইএল-৭৮’ জ্বালানিবাহী বিমান থেকে জ্বালানি ভরা হয় তেজসে। স্বল্প সময়েই প্রায় ১৯ হাজার লিটার জ্বালানি পৌঁছে যায় যুদ্ধবিমানটির পেটে। মাঝ আকাশে জ্বালানি ভরে বিশ্বের প্রথম সারির সামরিক শক্তির তালিকায় নাম লেখায় ভারত।

Advt