দলে ক্রমশ বাড়ছে বিক্ষুব্ধদের সংখ্যা। রুটিন করে প্রায় প্রতিদিনই কেউ না কেউ ‘বেসুরো’ হচ্ছেন৷ দলও তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করছে৷ একুশের নির্বাচনের মুখে দলের অন্দরে এই প্রবনতা এখনই বন্ধ করতে চান তৃণমূল(TMC) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ৷
সেই লক্ষ্যেই দলের কোর কমিটির (Core Committee) সঙ্গে আজ, শুক্রবার বৈঠকে বসছেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ বিকেলে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে হবে এই বৈঠক। বিক্ষুব্ধদের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা দিতে পারেন নেত্রী৷ এছাড়াও সূত্রের খবর, নির্বাচনের আগে দলীয় কৌশলও বোঝানো হবে এই বৈঠকে। কোর কমিটির সদস্যরা তো থাকবেনই, পাশাপাশি সশরীরে ও ভার্চুয়ালি বেশ কিছু বিধায়ক, সাংসদ ও সাংগঠনিক নেতাদের এই বৈঠকে থাকতে বলা হয়েছে৷
ইতিমধ্যেই বেসুরো’দের প্রতি দলের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন নেত্রী। বার বার বলেছেন, “যারা ছেড়ে যাবার তারা যেতে পারেন। যারা দল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন, তাদের আর দলে ফেরানো হবে না।” মুখ্যমন্ত্রীর এই হুঁশিয়ারির পরেও দলের অনেকের ক্ষোভ কমেনি৷ আপাতত সর্বশেষ, উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল দলের দুই পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। প্রকাশ্যে বলেছেন, দলে ভালো লোকেরা কাজ করতে পারছে না। এই মন্তব্যের পরে দল তাঁকে শোকজ করেছে। যদিও এই শোকজের চিঠি তিনি পাননি বলে জানিয়েছেন প্রবীরবাবু৷ দল আলোচনা বন্ধ করেছে রাজীব বন্দোপাধ্যায় সঙ্গে, একই ব্যবস্থা নিয়েছে লক্ষীরতন শুক্লার প্রতি। আর বৈশালী ডালমিয়াকে তো সরাসরি বহিষ্কারই করা হয়েছে৷ দলের পদ থেকে সরানো হয়েছে নদীয়ার এক নেতাকে।
এসব ঝেড়ে ফেলে এবারের গুরুত্বপূর্ণ বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতি নিতেই নেত্রী আজ দলের পদাধিকারী, সাংসদ, বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক করতে চলেছেন। রাজীব বন্দোপাধ্যায়, প্রবীর ঘোষাল, লক্ষীরতন শুক্লা এই বৈঠকে তাঁরা যোগ দেন কিনা, রাজনৈতিক মহলের নজর থাকবে সেই দিকে৷ যদিও দলের হুইপ থাকা সত্ত্বেও বিধানসভা অধিবেশনে এই তিনজন যোগ দেননি৷
এদিকে, আজ রাতেই রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শাহি- সফরের আগে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে তৃণমূল নেত্রীর এই বৈঠক।


































































































































