দলের অন্দরে ক্ষোভ ক্রমশ তীব্র হচ্ছিল। দেশজুড়ে একের পর এক নির্বাচনে ব্যর্থতা ও বরিষ্ঠ নেতাদের অসন্তোষ সামাল দিতে শুক্রবার ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে বসে জাতীয় কংগ্রেস। খবর ছিল এই বৈঠকেই হয়তো কংগ্রেসের(Congress) সভাপতি পদে নির্বাচনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হতে পারে। বৈঠক শেষে অবশেষে জানা গেল, আগামী মে মাসে দলের সভাপতি নিয়োগ করার জন্য আভ্যন্তরীণ দলীয় নির্বাচন করবে দল।
সূত্রের খবর, এই দিনের বৈঠকে কে বেনুগোপাল কেন্দ্রীয় ইলেকশন অথরিটির সিডিউল পড়ে জানান, আগামী মে মাসে কংগ্রেস সভাপতি(Congress President) ঠিক করার জন্য নির্বাচন হবে। দেশের ৫টি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার পর এই নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক হবে। কারণ দল চায় না একাধিক রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দলের লক্ষ্য বিচ্যুত হোক।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস চূড়ান্ত ব্যর্থ হওয়ার পর দলের সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী(Rahul Gandhi) এরপর আভ্যন্তরীণ সভাপতি হিসেবে দল সামলান সোনিয়া। রাহুল গান্ধী নিজের ইস্তফার সঙ্গে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন তিনি আর কখনোই সভাপতি পদে আসবেন না। এমনকি গান্ধী পরিবারের কাউকে দলের সভাপতি করা হবে না বলেও জানান তিনি। এরপর থেকে সময় যত গড়িয়েছে দলের অন্দরে ক্ষোভ তত তীব্র হয়েছে। দলীয় নেতৃত্বের গা-ছাড়া মনোভাবের জন্য পার্টির নীতির দিকে আঙুল তুলেছেন বিক্ষুব্ধ বহু নেতা। প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বর মাসে একবার বৈঠকে বসেছিল কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটি। যেখানে গোটা দেশের কংগ্রেস সংগঠনের বিপুল রদবদল করা হয়।
আরও পড়ুন:সীমান্ত সংঘাত আরও জোরালো, অরুণাচলে চিনা গ্রাম নিয়ে এবার বিবৃতি বেজিংয়ের
এই বৈঠকেই অবশ্য সুর ওঠে রাহুল গান্ধীকে ফের একবার কংগ্রেস সভাপতি করার জন্য। দলের বরিষ্ঠ নেতাদের তরফে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয় সভাপতি নিয়োগ করতে গেলে দলের অন্দরে নির্বাচনের মাধ্যমে তা করতে হবে। অবশ্য ১৯ ডিসেম্বরের বৈঠকের যখন রাহুলকে ফের সভাপতি করার জন্য বহু নেতা সরব হয়ে ওঠেন, তখন অবশ্য রাহুল গান্ধী জানান, দল তাকে যে দায়িত্ব দেবেন তা সর্বশক্তি দিয়ে পালন করবেন তিনি। এমন পরিস্থিতিতে দেখার বিষয় এটাই দলের আগামী সভাপতি কে এবং কোন পদ্ধতিতে হন।


































































































































