শুভেন্দু অধিকারীর স্বঘোষিত ‘গড়ে’ দাঁড়িয়ে তাঁকে কার্যত দুরমুশ করলেন প্রাক্তণ পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র (Madan Mitra)৷
মঙ্গলবার খেজুরিতে (khejuri) তৃণমূলের বিশাল সভায় পুরোনো ফর্মে ফিরে মদন মিত্র বলেন, “পূর্ব মেদিনীপুরের উন্নয়ণে, মেদিনীপুরবাসীর সুখ-দুঃখের সঙ্গী হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা দিয়েছেন তাঁর সিংহভাগ আত্মসাৎ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী (suvendu adhikary)”।
শুধুই আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ নয়, এদিন শুভেন্দুকে ‘বেইমান’ চিহ্নিত করে মদন মিত্র বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দু’হাত ভরে শুভেন্দুকে দিয়েই গিয়েছেন৷ এততো পদ দিয়েছিলেন, যা একসঙ্গে উচ্চারণ করতে শুভেন্দুর পাঁচ মিনিট সময় লাগতো৷ এত কিছু পাওয়া সত্ত্বেও শুভেন্দু বলছে, দলে আমি বঞ্চিত, কিছুই পাইনি আমি৷ বেইমানির একটা সীমা থাকা উচিত ছিলো, শুভেন্দু তাও ছাপিয়ে গিয়েছে”৷ মাঠ উপচে যাওয়া কর্মী- সমর্থকদের উল্লাসের মাঝেই তিনি বলেন, “আসলে শুভেন্দু তালিকায় আরও একটা দাবি ছিলো৷ মমতা সেই দাবি পূরণ করতে পারেননি, তাই ক্ষুব্ধ, বঞ্চিত হন শুভেন্দু ৷ অধিকারী পরিবারের এই সন্তান নোবেল পদক চেয়েছিলেন, মমতা সেই পদক দিতে পারেননি৷ তাই ‘বঞ্চিত’ শুভেন্দু দল ছেড়েছেন৷”
শুধুই শুভেন্দু নন, মদনের নিশানায় এদিন ছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়ও(sovon chatterjee) মদন মিত্র বলেন, “দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন, নেতাজি সুভাষ যে চেয়ারে বসেছিলেন, কলকাতা পুরসভার সেই মেয়রের চেয়ারে বসতে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ সমস্যা হলো, শোভন সেই চেয়ারে বসতে চেয়েছিলেন বৈশাখীকে নিয়ে, দু’জন মিলে৷ এই আবদার মমতা মানেননি, তাই বৈশাখীকে নিয়ে তৃণমূল ছেড়েছেন শোভন৷”
এদিনের সভামঞ্চ থেকে জেলার তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ানদের ভূয়সী প্রশংসা করেন মদন।
আরও পড়ুন- বিমল-বিনয়কে আগামী ভোটে পাহাড় শিক্ষা দেবে, দাবি দিলীপ ঘোষের