পুরুলিয়ার হুটমোড়ায় জনসভা মাতালেন শতাব্দী রায়(satabdi roy)। সদ্য তিনি দলের সহ সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন । মঙ্গলবারও তিনি সহ সভাপতি হিসেবে দায়িত্বশীল বক্তব্য রাখলেন। কেন বিজেপিকে পরিত্যাগ করতে হবে এবং কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে ফের জেতাতে হবে, তার বিশদ ব্যাখ্যা দিলেন তিনি ।
মুখ্যমন্ত্রীর সভামঞ্চ থেকে বিরোধী বিজেপিকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেন সাংসদ শতাব্দী।
কেন ১৪ হাজার কোটি টাকার নতুন সংসদ ভবন তৈরি করা হলো, পুরুলিয়ার সভায় প্রশ্ন তুললেন শতাব্দী। তার অভিযোগ, দু’বছর ধরে সাংসদদের তহবিলে কোন টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। মানুষকে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে । বেঁচে থাকার জন্য সবার আগে দরকার খাবার, মাথার ছাদ। বিজেপি সরকার প্রতিনিয়ত মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। প্রতি অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ফেরত দেওয়ার কথা দিব্যি ভুলে গেছে কেন্দ্র।
তিনি মনে করিয়ে দেন, স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডে ৫ লক্ষ টাকা পাচ্ছেন। এই টাকা আপনাদের হক আপনাদের পাওনা। একজনের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য, শুধুমাত্র মমতাকে হারানোর জন্য নানান প্রদেশের নেতারা এখন এরাজ্যে আসা যাওয়া শুরু করেছেন । কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াইয়ের সঙ্গে আমরা আছি। একজন নেত্রীকেই ভারতবর্ষের রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীরা ভয় পান। তার নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কেন্দ্রের বিরুদ্ধে না করার একজনই আছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তার জিজ্ঞাসা, কোনও সরকার এর আগে আপনাদের কাছে দুয়ারে সরকারের মতো প্রকল্প নিয়ে গিয়েছে? শতাব্দী বলেন, সুযোগ নিচ্ছেন ভোট না দিলে বেইমানি হবে। বাইরের মানুষরা এখানে এসে ধমকাচ্ছে। আসলে কেন্দ্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভয় করে চলে।
ক্ষমতায় আসার আগেই পদ্ম শিবিরের নেতা-কর্মীরা ‘মস্তানি’ করছে বলে অভিযোগ তাঁর।বিধানসভা নির্বাচনে গেরুয়া শিবির জিতলে বাংলায় ধর্মীয় হানাহানি আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা শতাব্দীর। তাই সোনার বাংলা গড়ার ক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) জয়ী করার বার্তা দিয়েছেন তিনি।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.