২০১৬ সালে শুভেন্দু অধিকারীকে (Subhendu Adhikary) নন্দীগ্রামে (Nandigram) ডেকে এনে প্রার্থী করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী (CM) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banarjee)। শুধু প্রার্থী করাই নয়, দায়িত্ব নিয়ে বিপুল ভোটে জিতিয়ে ছিলেন, রাজ্য মন্ত্রীসভায় তিন-তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়ে ছিলেন, যাঁর চোখ দিয়ে নন্দীগ্রামকে দেখতেন, সেই শুভেন্দু এখন জার্সি বদলে শত্রু শিবিরে। এই নন্দীগ্রাম একটা সময়ে পরিবর্তনের আন্দোলনের জন্য বিখ্যাত হয়ে উঠেছিল, যে নন্দীগ্রাম জমি আন্দোলন ৩৪ বছরের বাম সরকারকে পরাস্ত করার রাস্তা মসৃণ করেছিল, এবার বিধানসভা নির্বাচনে (Assembly Election) সেই প্রিয় নন্দীগ্রাম থেকেই নিজে লড়াই করার কথা সদর্পে ঘোষণা করে দিয়েছেন তৃণমূল (TMC) নেত্রী।
নন্দীগ্রামকে নিজের গড় বলে দাবি করা শুভেন্দুর জমি তাঁর সৌজন্যেই তৈরি সেটা প্রমাণ করে দিতে চান মমতা। তৃণমূল ছাড়া শুভেন্দু যে “মাকাল ফল”, তা বুঝিয়ে দিতে দলনেত্রীর সভা শেষ হওয়ার পর রাতারাতি ভোটের প্রচারে নেমে পড়েছে ঘাসফুল শিবির। মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং তাঁদের এলাকার প্রার্থী, এটা ভেবেই যেন উৎসাহ কয়েকশো গুণ বেড়ে গিয়েছে তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে। মমতার সভার পরই নন্দীগ্রামে তৃণমূলের ঐক্যবদ্ধ ছবি উঠে আসছে। সামান্য যে দলীয় কোন্দল ছিল, রাতারাতি সেটাও উধাও। বরং, জননেত্রীকে রেকর্ড মার্জিনে জিতিয়ে আনার পণ করেছেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়নি, এখন থেকেই
“খেলা হবে” স্লোগান নিয়ে প্রবল উৎসাহে লড়াইয়ের নেমে পড়েছেন তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব ও কর্মী-সমর্থকরা।
গতকাল, সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম থেকে তৃণমূলের প্রার্থী তিনি। সেই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পেরনোর আগেই নেত্রীর নামে দেওয়াল লেখন শুরু হয়ে গেল নন্দীগ্রামের প্রতিটি অঞ্চলে। রাতারাতি তৃণমূলের দখলে সব দেওয়াল। বেশকিছু জায়গায় মমতাকে বিপুল ভোটে জেতানোর আবেদন নিয়ে দেওয়াল লেখন সম্পূর্ণ।

অন্যদিকে, গতকাল শুভেন্দু অধিকারী দক্ষিণ কলকাতায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ৫০ হাজার ভোটে হারানোর চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন। না হলে, রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেছেন। যা শুনে সুপ্রকাশ গিরি থেকে শুরু করে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব শুভেন্দুকে কটাক্ষ করে বলেন, শুভেন্দু এর আগেও অনেকবার এ রকম ধরণের কথা বলেছিলেন, কিন্তু কাজে দেখাতে পারেননি। এবং রাজনীতিও ছাড়েননি। ক্ষমতা থাকলে নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে দেখাক, জামানত বাজেয়াপ্ত করার জন্য যা করতে হয়, তাই করবে তৃণমূল!
আরও পড়ুন- শারীরিক সমস্যা থাকলে কোভ্যাকসিন দেওয়া যাবে না : ভারত বায়োটেক



































































































































