পরিকল্পনা ছিল প্রথম পর্যায় করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হবে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা গেল স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে সরাসরি যুক্তরা ছাড়াও করোনার প্রতিষেধক পেলেন অনেক জনপ্রতিনিধিও। বিধায়ক (Mla) , প্রাক্তন বিধায়ক থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি-সহ অনেকেই শনিবার কোভিড (Covid) ভ্যাকসিন (Vaccine) নিলেন। এই দৃশ্য ধরা পড়েছে পূর্ব বর্ধমান (East Bardhawan) জেলায়।
জেলা প্রশাসন তরফে জানানো হয়েছে, রোগী কল্যাণ সমিতির সঙ্গে যুক্ত থাকায় করোনার ভ্যাকসিন নিয়েছেন তাঁরা।
সূত্রের খবর, ভাতারের বিধায়ক সুভাষ মণ্ডল (Subhash Mandal), ভাতারের প্রাক্তন বিধায়ক বনমালী হাজরা (Banamali Hazra), কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় (Rabindranath Bhattacharya) এদিন টিকা নেন। এছাড়াও ভ্যাকসিন প্রাপকদের তালিকায় ছিল রোগী কল্যাণ সমিতির সঙ্গে যুক্ত পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও কর্মাধ্যক্ষদের নামও।
পূর্ব বর্ধমানের সিএমওএইচ (Cmoh) প্রণবকুমার রায় বলেন, রোগী কল্যাণ সমিতির সঙ্গে যেসব জনপ্রতিনিধি যুক্ত তাঁরা করোনার প্রতিষেধক নিয়েছেন। কারণ তাঁরাও নিয়মিত হাসপাতালের। বিভিন্ন ইউনিট পরিদর্শন করেন, বৈঠকে অংশ নেন। তাঁদের পাশাপাশি হাসপাতালের চিকিৎসক-সহ স্বাস্থ্যকর্মীদের করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।

কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, চিকিৎসক, নার্সদের পাশাপাশি পুলিশ কর্মী- আধিকারিক-সহ বিভিন্ন পেশার অনেককেই সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। সেইসব প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের বাদ দিয়ে জনপ্রতিনিধিদের নাম কেন প্রথমদিনের তালিকায় রাখা হয়েছে। জেলার অনেক চিকিৎসক, নার্সকে এদিন ভ্যাকসিন দেওয়া যায়নি। তাদের বাদ দিয়ে জনপ্রতিনিধিদের টিকাকরণ হওয়ায় বিতর্ক দেখা দিয়েছে। যদিও বিষয়টি অভিপ্রেত নয় বলে জানিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
আরও পড়ুন- রোজভ্যালি কাণ্ড: জামিনের আবেদন খারিজ, ট্রানজিট রিমান্ডে শুভ্রাকে ভুবনেশ্বরে নিয়ে যাচ্ছে CBI


































































































































