আসন্ন নির্বাচনে কটা আসন দখল করবেন? জানিয়ে দিলেন আত্মবিশ্বাসী আব্বাস সিদ্দিকি

0
1

বঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে আগেই। নির্বাচনের জটিল অংকের সমাধান নিজের মত করে করতে শুরু করে দিয়েছে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি। তবে একুশের নির্বাচনে সবচেয়ে বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াচ্ছে মুসলিম ভোট। দেশের একাধিক রাজ্যে ‘ভোট কাটুয়া’ হিসেবে কুখ্যাতি অর্জন করা মিম এবার বঙ্গ নির্বাচনে লড়াইয়ের ময়দানে। মাঠে নামছেন ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকিও(Abbas Siddiqui)। কয়েকদিনের মধ্যেই অভিষেক হবে তাঁর দলের। তবে বঙ্গ নির্বাচনে তিনি কতখানি প্রভাব ফেলবেন? সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সেটাই স্পষ্ট করে দিলেন সিদ্দিকি। আব্বাস জানিয়ে দিলেন, ‘কম করে ৫০ আসনে জেতার মতো জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছি আমরা।’

বাংলার নির্বাচনে মুসলিম ভোটকে নজরে রেখে রাজনীতির ময়দানে নামতে চলা মিম ও আব্বাস সিদ্দিকির দল চিন্তা বাড়িয়েছে রাজ্যের একাধিক শক্তিশালী দলের। তবে মুসলিম ভোট যত বেশি ভাগ হবে ততোই ফায়দা উঠবে বিজেপির। এমন অবস্থায় মমতা বিরোধী মুখ হিসেবে পরিচিত আব্বাসের সঙ্গে সম্প্রতি সাক্ষাৎ করে গিয়েছেন মিম(MIM) প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েসি(Asaduddin Owaisi)। যদিও এই দুই দলের জোট হবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট হয়নি। আব্বাস অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন, ‘দিদিমণির সবচেয়ে আপনজন হল মিম। নন্দীগ্রাম পর্ব থেকেই একসঙ্গে তাঁরা। মিমের নেতা আমার বাড়িতে এসেছিলেন, তিনি তাঁর রায় দিয়েছেন, তবে আমার ফয়সলা সময় মতো শোনাব।’ এদিকে সিদ্দিকি সঙ্গে বৈঠক করেছেন কংগ্রেস প্রধান অধীর রঞ্জন চৌধুরী(adhir Ranjan Chaudhary)। বামেদের তরফের সূর্যকান্ত মিশ্র আবার জানিয়েছেন, মিমের সঙ্গ ছাড়লে তবেই জোট নিয়ে চিন্তাভাবনা করবে তারা। এখন আব্বাস কোন পথে যান দেখার বিষয় সেটাই।

আরও পড়ুন:কে ডি সিংকে গ্রেফতারের পর নারদকাণ্ডে ম্যাথুর বয়ান চেয়ে সিবিআই-কে চিঠি ইডির

অবশ্য রাজনীতির ময়দানে শুরুতেই বেশ আত্মবিশ্বাসী আব্বাস সিদ্দিকি। তার কথায়, এই রাজ্যে তার অনুগামী সংখ্যা আড়াই কোটি। এর মধ্যে ৭০% মানুষ তার রাজনীতিতে প্রবেশকে সমর্থন করেছেন। তৃণমূলের ভয়ের জায়গা ঠিক এখানেই। সিদ্দিকির অভিযোগ, বাংলায় বিজেপিকে আনার রাস্তা উন্মুক্ত করেছে এই তৃণমূল। তবে আববাস বিরোধী হলেও তহা সিদ্দিকি আবার তৃণমূল ঘনিষ্ঠ। ফলে ভোট ভাগাভাগি ঠিক কোন পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়াবে তা নিয়ে বেশ চিন্তিত রাজনৈতিক মহল।

Advt