করোনাভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে যারা প্রাণ দিয়েছেন, তাঁদের শ্রদ্ধা জানাতে কলকাতার একদল চিকিৎসক (Doctors) ‘মিউজিয়াম’ (Museum) তৈরির কথা ভাবছেন। এই মিউজিয়ামে পাশাপাশি তুলে ধরা হবে কী ভাবে এই মহামারি মানুষকে ‘নিউ নর্মাল’ জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত করে তুলেছে, সেই কথাও৷

আপাতত ঠিক হয়েছে, ওই মিউজিয়ামে থাকবে কোভিড ১৯ (Covid 19) সম্পর্কিত বহু জিনিস। থাকবে পিপিই কিট,(PPE KIT) মাস্ক, স্যানিটাইজার ইত্যাদি। এই ভাইরাসের সঙ্গে লড়াইয়ে মানুষ যেসব জিনিসের সাহায্যে নিজেদের সুরক্ষিত রেখেছে, সেই সব জিনিসও থাকবে মিউজিয়ামে।
নজিরবিহীন এই উদ্যোগ নিয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরাম (WBDF)৷ ফোরামের তরফে ডাঃ রাজীব পাণ্ডে একথা জানিয়েছেন৷ ডাঃ পাণ্ডে বলেন, এ ধরনের মিউজিয়াম করতে হলে রাজ্য সরকারের অনুমতি দরকার। প্রশাসনের কাছে এই প্রকল্পের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সবুজ সংকেতের আশায় রয়েছেন কলকাতার চিকিৎসকেরা।
এই আইডিয়ার জনক বিশিষ্ট চিকিৎসক অর্জুন দাশগুপ্ত বলেছেন, শুধু এসবই নয়, কী ভাবে ভ্যাকসিন তৈরি হয়েছে এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশ কী ভাবে এই পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে, তাও মিউজিয়ামে দেখানো হবে। ডাঃ রাজীব পাণ্ডে বলেছেন, এই ধরনের অতিমারি প্রায় ১০০ বছর পর ফিরে এসেছে। বহু প্রবীণ মানুষও এমন সংকট দেখেননি। প্রায় ৯০ জন ডাক্তার এই রাজ্যে মারা গিয়েছেন রোগীদের পরিষেবা দেওয়ার সময়ে৷ এসব আমরা ভুলতে চাইনা৷ পরবর্তী প্রজন্ম যাতে এই ভয়াবহ বিপর্যয়ের সঙ্গে লড়াইয়ের কথা জানতে পারে, তাই এই মিউজিয়াম৷ একটা সময় আসবে যখন মানুষের স্মৃতি থেকে করোনা- যোদ্ধাদের কথা, স্বাস্থ্যকর্মীদের কথা মুছে যাবে। তেমন যাতে না হয়, সেই লক্ষ্যেই এই মিউজিয়াম তৈরির কথা ভাবা হয়েছে। সাধারণ মানুষ থেকে ভিভিআইপি, তারকা, কোভিড ১৯ কেড়েছে অসংখ্য প্রাণ। মিউজিয়ামে তাঁদের কাহিনিও দেখানো এবং শোনানো হবে। এত মানুষের বলিদান যাতে বিফলে না যায়, সেই জন্যই এই মিউজিয়াম তৈরি করা একান্ত প্রয়োজন বলে মনে করছেন পশ্চিমবঙ্গের চিকিৎসকেরা। আপাতত রাজ্য সরকারের অনুমতি ও এক টুকরো জমির আশায় অপেক্ষা করছেন রাজ্যের চিকিৎসকেরা!
আরও পড়ুন:মকর সংক্রান্তিতে ঘুড়ির মাধ্যমে সরকারি কাজের প্রচার শ্রীরামপুরে




































































































































