আঁখো দেখি: হাতেখড়িতেই ফ্লপ-শো, শোভন-বৈশাখীর সভায় দর্শকাসনে ফাঁকা চেয়ার!

0
3

অবশেষে হাতেখড়ি শোভন-বৈশাখীর! গেরুয়া বসনে হাতেখড়ি! কার্যত খাদের কিনারায় খড়কুটো আগলে ছিলেন। কিন্তু কোনওরকমে “সহানুভূতি” আদায় করে “হাতে-পায়ে” ধরে পথে নামা। যেখানে রাজ্য বিজেপির চেনা ও শীর্ষ নেতৃত্বের কোনও আগ্রহ ছিল না। অসমর্থিত সূত্রের খবর, শোভন-বৈশাখীর তরফে রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতাদের এই মিছিলে আমন্ত্রণ করা হলেও কেউ পাত্তা দেননি এবং আসেননি। পাছে ফের মুখ পোড়ে!

এদিকে যখন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা রাস্তায় নেমে বুক চিতিয়ে লড়াই করছেন, তখন শোভন-বৈশাখীর জন্য বরাদ্দ হুডখোলা জিপ, তাঁদের অভিজাত আবাসনের মধ্যে ঢোকাতে হলো। পরে জানা গিয়েছে, বৈশাখীদেবীর নতুন আবদার বা দাবি, সাধারণ কর্মীদের মধ্যে গিয়ে তাঁরা মিছিলে হাঁটবেন না, কারণ তাঁর বা তাঁদের একটা “স্ট্যাটাস” আছে! সেই আবদারও শেষ পর্যন্ত মানা হলো! অবশেষে “অজ্ঞাতবাস” বা “খোলস” ছেড়ে বের হলেন শোভন-বৈশাখী। রোড-শো হলো।

কিন্তু সেই আবেগ কোথায়? সেই জনপ্লাবন কোথায়?

তিনটি ট্যাবলোর সবকটিতেই ছিল সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিক ও চিত্রগ্রাহকরা। কিছু বাইক। রাস্তার দু-ধারে ধারে দাঁড়িয়ে থাকা কিছু উৎসাহী মানুষ। অবশ্যই বিজেপির কিছু কর্মী সমর্থক! এটাকেই সাফল্য বলা হচ্ছে।

পরের ছবিটা তো আরও করুণ! সেলিমপুরে শোভন-বৈশাখীর সভায় দর্শক আসন খালি! দর্শকের পরিবর্তে প্রদর্শিত হল শুধুই ফাঁকা চেয়ার!

২০১৯ সালের ১৪ আগস্ট ঢাকঢোল পিটিয়ে দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর বিশেষ বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর থেকে পুরোটাই গোল গোল! তাঁদের রাজনৈতিক অবস্থান শুধু নয়, তাঁদের মনোভাব নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল বিজেপির অন্দরমহলে! একের পর এক কর্মসূচিতে দলকে ডুবিয়েছেন, শুধু তাই নয়, এই জুটি দলকে বিড়ম্বনায় ফেলেছেন!

অবশেষে ময়দানে নামলেন, এবং ফ্লপ-শো উপহার দিলেন! সেইসঙ্গে মুকুল ঘনিষ্ঠ এক যুবনেতাকেও পদতলে পিষ্ট করলেন! খুট খোলা জিপে তো উঠতে দিলেন না, অপমান করে মিছিলের শেষে হাঁটলেন তাঁকে!

আরও পড়ুন- ডাবগ্রাম-ফুলবাড়িতে লাল ঝান্ডার প্রচারে স্বস্তি গৌতম দেবের, কটাক্ষ বামেদের

Advt