বিদ্যুৎ বিভ্রাট পাকিস্তানে (Pakistan)। শনিবার স্থানীয় সময় রাত ১১.৪৫ হঠাৎই বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটে সে দেশে। ব্ল্যাকআউট হয় করাচি, লাহৌর, ইসলামাবাদ, রাওয়ালপিণ্ডি, পেশোয়ার, মুলতান, কোয়েটা, ফয়সলাবাদ, মুজফ্ফরগড়, নারোয়াল, ভাক্কার, কবিরওয়ালা, খানেওয়ালা, ভাওয়ালপুর এবং সুক্কুর-সহ দেশের ১১৪টি শহর।
স্থানীয় কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, ব্ল্যাকআউট হয়ে যায় পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরও। ব্যাহত হয় মোবাইল এবং ইন্টারনেট পরিষেবা। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জেরে করাচিতে জিন্না আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিষেবা চূড়ান্ত বিপর্যস্ত হয়।

ব্ল্যাকআউট হওয়ার পরই টুইট করেন ইমরান খানের দেশের বিদ্যুৎমন্ত্রী ওমর আয়ুব খান (Omar Ayub Khan)। লিখেছেন, “বিদ্যুৎ বন্টন ব্যবস্থায় সমস্যার কারণেই দেশ জুড়ে ব্ল্যাকআউটের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কী কারণে এমন পরিস্থিতি তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ভারপ্রাপ্তকর্মীরা ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছে। বিদ্যুৎমন্ত্রী হিসেবে আমি গোটা বিষয়ের উপর নজর রাখছি।” প্রাথমিক অনুমান পাওয়ার গ্রিড ব্রেকডাউনের জেরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে দেশের একাংশ। গতকাল সারা রাত ধরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কাজ করেছেন বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা। ব্ল্যাকআউটের খবর ছড়িয়ে পড়তে স্বভাবতই উত্তাল হয়ে ওঠে সোশ্যাল মিডিয়া। সে দেশে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পরে রাতেই #ব্ল্যাকআউট ট্রেন্ডিং হয়।
ইসলামাবাদের ডেপুটি কমিশনার হামজা শফাকত টুইটারে জানান, ন্যাশনাল ট্রান্সমিশন ডেসপ্যাচ কোম্পানির (এনটিডিসি) বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়ে পাকিস্তানজুড়ে অন্ধকার নেমে এসেছে। তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে কিছুক্ষণ সময় লাগবে।’
২০১৫ সালেও ব্ল্যাকআউট হয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। রাজধানী ইসলামাবাদ-সহ দেশের ৮০ শতাংশ অঞ্চল অন্ধকারে ডুবে গিয়েছিল। ন্যাশনাল গ্রিড বসে যাওয়ার কারণে সেই ভয়ানক বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হয়েছিল গোটা পাকিস্তানকে।
আরও পড়ুন-ভারতে ঢুকে পড়া জওয়ানকে দ্রুত ফেরাতে তৎপরতা শুরু চিনের































































































































