অভিযোগ ছিলো, নিয়োগে বেনিয়ম হয়েছে৷ আইন না মেনে নিয়োগ করা হয়েছে বিশ্বভারতীর(visva Bharati) পাঠভবনের অধ্যক্ষা পদে৷ অভিযোগকারী, বিশ্বভারতীর অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য(Sudipta Bhattacharya)।

অভিযোগের তদন্ত তো দূরের কথা, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ প্রথমেই সাসপেন্ড করলো অভিযোগকারী অধ্যাপককে৷ ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-অশিক্ষকদের বক্তব্য, বিশ্বভারতীতে উপাচার্যের ‘একুশে আইন’ চলছে৷ এই ঘটনায় ফের বিতর্ক শান্তিনিকেতনে(Shantiniketan)।
নিয়োগ প্রক্রিয়ার অস্বচ্ছতা ও বেনিয়মের অভিযোগ এনে বিষয়টি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং উপাচার্যের নজরে এনেছিলেন অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য৷ তাঁর অভিযোগ,
বিশ্বভারতীর পাঠভবনের অধ্যক্ষা বোধিরূপা সিংহের নিয়োগ সঠিক পদ্ধতি মেনে হয়নি৷ এই নিয়োগে একাধিক বেনিয়ম হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হোক৷ বিষয়টি জানিয়ে আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী ও উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে চিঠিও দেন অভিযোগকারী অধ্যাপক। জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতিকেও৷ কারণ, পদাধিকারি বলে রাষ্ট্রপতি বিশ্বভারতীর পরিদর্শক।
এই অভিযোগ পেয়েও তদন্ত না করে, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ উল্টে অভিযোগকারীকেই সাসপেন্ড করে দিয়েছে৷
আরও পড়ুন:হালিশহরে নিহত বিজেপি নেতার স্ত্রীকে চাকরি দিলেন মমতা
বিশ্বভারতী সূত্রের খবর, উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী নেতৃত্বে বৈঠকে বসেন বিশ্বভারতীর কর্মসমিতির সদস্যরা। সেই বৈঠকেই অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, প্রমাণ হওয়ার আগেই অভিযোগ জনসমক্ষে এনেছেন অধ্যাপক সুদীপ্ত। ফলে পাঠভবনে অধ্যক্ষা বোধিরূপা সিংহের মানহানি হয়েছে। অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যের কাছে ইতিমধ্যেই সাসপেনশনের নোটিসও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। এবিষয়ে মুখ খুলতে চাননি ওই অধ্যাপক৷
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে আলাপিনী মহিলা সমিতির সদস্যদের ঘর ছাড়ার নির্দেশকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তৈরি হয় বিশ্বভারতীতে। উপাচার্যের বিরুদ্ধে অনৈতিক কাজে অভিযোগ অবস্থানে বিক্ষোভে বসেন সমিতির সদস্যরা। সেই বিতর্কের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার অধ্যাপক নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগ সামনে এল।


































































































































