বিষ দিয়ে তাঁকে খুনের চেষ্টা করা হয়েছিল- বিস্ফোরক দাবি বিজ্ঞানীর। ইসরোর শীর্ষ স্থানীয় বিজ্ঞানী তপন মিশ্রর (Tapan Mishra)। অভিযোগ, প্রায় ৪ বছর আগে বেঙ্গালুরুতে (Bengaluru) ইসরোর (Isro) কার্যালয়ে তাঁকে খুনের চেষ্টা করা হয়। খাবারে মেশানো হয়েছিল আর্সেনিক ট্রাইঅক্সাইড (Arsenic Tryoxide)। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রাক্তনির অভিযোগ নিজের ফেসবুকে ‘লং কেপ্ট সিক্রেট’ বলে একটি পোস্ট করেন তিনি। সেখানে তপন মিশ্র লেখেন, ২০১৭ সালের ২৩ মে খাবারে আর্সেনিক ট্রাইঅক্সাইড মেশানো হয়। ঘটনার দিন বেঙ্গালুরুতে সদর কার্যালয়ে ইন্টারভিউ চলছিল। দুপুরে খাবার খাওয়ার পর ধোসা এবং চাটনির খান তিনি। অভিযোগ, ওই খাবারের মধ্যেই বিষ ছিল। বিজ্ঞানীর দাবি, ওই বছর জুলাই মাসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের (Home Ministry) এক নিরাপত্তা আধিকারিক এই বিষয়ে তাঁকে জানান। আর্সেনিক জাতীয় বিষ দেহে ঢোকায় চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলেন বলেও দাবি তপন মিশ্রর।
ওই ফেসবুক পেজে বিজ্ঞানী দাবি করেন, রেডার ইমেজিং স্যাটেলাইট বা রিস্যাট গবেষণায় তাঁর অবদানের কারণে পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তের ছবি দিনের মতো রাতেও দেখা সম্ভব হয়েছে। আর এই প্রযুক্তির মাধ্যমে সেনা বা গুপ্তচর সংস্থা ছবি তুলতে পারে। শুধু দেশের মধ্যেই নয়, পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তে যে কোনও সময়ে এই ছবি তোলা সম্ভব বলে জানিয়েছেন তিনি। আমেরিকা (America), রাশিয়া (Russia) ও ইজরায়েলের (Israel) বিভিন্ন সংস্থা ভারতকে ওই প্রযুক্তি দশ গুণ দামে বিক্রি করেছে। তাদের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হয় বলে উল্লেখ করেছেন বিজ্ঞানী।
ইসরোর আমদাবাদের (Ahmedabad) স্পেস অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারের ডিরেক্টর পদে ছিলেন তপন মিশ্র। এ মাসের শেষেই ইসরোর সিনিয়র অ্যাডভাইজারি হিসেবে অবসর নেবেন তিনি। তপনের দাবি, বিষক্রিয়ার জেরে শ্বাসকষ্ট, অ্যালার্জি, ফাঙ্গাল ইনফেকশন হয় তাঁর। শুধু তাই নয়, সোশাল মিডিয়ায় দিল্লির এইমসের মেডিক্যাল রিপোর্টের ছবিও শেয়ার করেছেন তিনি। বিজ্ঞানীর দাবি, আর্সেনিক টক্সিকেশেন বলে উল্লেখ আছে ওই রিপোর্ট।
শুধু খাবারে বিষ নয়, তার ঘরে একাধিকবার ভয়ংকর বিষধর সাপ ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ তপন মিশ্রর। ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেন এর আগে বিভিন্ন বিজ্ঞানীর রহস্যমৃত্যুর কথা শুনেছেন তিনি কিন্তু সেই অভিজ্ঞতা যে তারও হবে সে কথা ভাবেননি।
কিন্তু কী কেন তাঁকে বিষ দিয়ে মারার চেষ্টা করা হয়েছিল? তপন মিশ্র বলেন, “বিভিন্ন উদ্দেশে এই আক্রমণ করা হতে পারে। আমার আবিষ্কৃত প্রযুক্তির জন্য বিদেশি শক্তির স্বার্থক্ষুন্ন হওয়াতেই বার বার করা হয়েছে খুনের চেষ্টা। আমি চাই গোটা ঘটনার তদন্ত করুক কেন্দ্রীয়”। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কেন এত বছর পর তিনি এই অভিযোগ করছেন ?। তার কোনো সদুত্তর রহস্য দেননি বিজ্ঞানী।

































































































































