গদি ছাড়ার আগের মুহূর্ত পর্যন্ত দেশে অশান্তি পাকানোর কোনও চেষ্টাই ছাড়ছেন না আমেরিকার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। আর কয়েকদিনের মধ্যেই তাঁকে হোয়াইট হাউস থেকে চলে যেতে হবে। কিন্তু এখনও নির্বাচনে নিজের পরাজয় মেনে নিতে প্রস্তুত নন তিনি। শেষ বেলায় এখনও তাই প্ররোচনা তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ট্রাম্প। রাজধানী ওয়াশিংটনে নিজের সমর্থকদের তাতানোর পর কয়েক হাজার মারমুখী ট্রাম্প সমর্থক নজিরবিহীনভাবে তাণ্ডব ও হিংসা (violence) চালায় সংসদ ভবন ক্যাপিটল হিলে (capitol hill)। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত চারজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে এক মহিলাও আছেন। ঘটনায় আহত বেশ কয়েকজন। গ্রেফতার প্রায় ৫৫ জন ট্রাম্প সমর্থক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজধানী ওয়াশিংটনে ১৫ দিনের জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। বুধবার ওয়াশিংটনের সংসদ ভবনে মার্কিন ইতিহাসের এই বেনজির কাণ্ডটি ঘটায় বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকরা (trump supporters)।

আরও পড়ুন:“আগে মানুষের জীবন, তারপর বিশ্বাস”, গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের
বুধবার থেকেই শুরু হয়েছে মার্কিন কংগ্রেসের (US congress) যৌথ অধিবেশন। বৃহস্পতিবার নির্বাচনে জয়ের শংসাপত্র পাওয়ার কথা বিজয়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের (Joe Biden)। কিন্তু তার আগেই উত্তাল হয়ে ওঠে ওয়াশিংটন ডিসি। বুধবার মার্কিন কংগ্রেসের ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ের সামনে অস্ত্র হাতে জড়ো হন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কয়েক হাজার সমর্থক। ট্রাম্পের সমর্থনে স্লোগান তুলে তারা ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে জোর করে ঢুকে পড়ার চেষ্টা চালান। পুলিশ ও নিরাপত্তারক্ষীরা বিক্ষোভকারীদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে মুহূর্তেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ক্যাপিটল বিল্ডিং চত্বর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি চালাতে বাধ্য হয় পুলিশ। পুলিশের ছোঁড়া গুলিতে এক মহিলা বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হতেই পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ট্রাম্প সমর্থকরাও পাল্টা গুলি চালাতে থাকেন। সেই গুলিতে আরও তিনজন প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ট্রাম্প সমর্থকদের এই গুণ্ডামি দেখে সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে আমেরিকার সাধারণ মানুষ। পরিস্থিতির যাতে আরও অবনতি না ঘটে তার জন্য রাজধানীতে ১৫ দিনের জরুরি অবস্থা জারি করেছেন ওয়াশিংটনের মেয়র। ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে ট্রাম্প সমর্থকদের এই গুণ্ডামির কড়া নিন্দা করেছেন ভাবি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি মার্কিন নাগরিকদের শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন। বিশ্বের অন্যতম সেরা গণতান্ত্রিক দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই ঘটনায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে বিশ্বের অন্যত্র। এই ঘটনার পর অনেকেই আগামীদিনে গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা করছেন।


































































































































