অগ্নিগর্ভ আমেরিকা। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্ররোচনায় উত্তেজিত হয়ে তাঁর কয়েক হাজার সমর্থক হামলা চালিয়েছেন ক্যাপিটল হিলের মার্কিন আইনসভায় ( US Congress)। হিংসা ও তাণ্ডবে এক মহিলা সহ প্রাণ হারিয়েছেন চারজন। এই ঘটনার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে (US) ক্ষমতা হস্তান্তর পর্বে যাতে গৃহযুদ্ধ বেধে না যায় তা রুখতে রাজধানী ওয়াশিংটনে (Washington) জারি হয়েছে ১৫ দিনের জরুরি অবস্থা (emergency)। বুধবার আমেরিকার আইনসভা কংগ্রেসের ক্যাপিটল বিল্ডিং (capitol building) কার্যত কয়েক ঘণ্টা দখল করে রাখে ট্রাম্প সমর্থকরা। তাদের হিংসার (violence) আঁচ থেকে বাঁচাতে মার্কিন সাংসদদের (US lawmakers) সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় আন্ডারগ্রাউন্ড টানেলে। এরপরই জারি হয়েছে জরুরি অবস্থা। রাজধানী ওয়াশিংটনে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১২ ঘণ্টার কার্ফু ঘোষণা করা হয়েছে।

ভাবি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (joe biden) ঘটনার তীব্র নিন্দা করে একে একটি ‘বিদ্রোহ’ বলে অভিহিত করেন। আর বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প (trump) এক ভিডিও বার্তায় তার সমর্থকদের বাড়ি ফিরে যেতে অনুরোধ করেন। যদিও একইসঙ্গে তাঁর অভিযোগ, নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে।
আরও পড়ুন:‘শান্তিপূর্ণভাবে হোক ক্ষমতার হস্তান্তর’, মার্কিন হিংসায় উদ্বেগ প্রকাশ মোদির
বিবিসির রিপোর্ট অনুযায়ী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনের মেয়র মুরিয়েল বাউজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে শহরে ১৫ দিন জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, অনেকেই অস্ত্রসহ এখানে এসেছে। তারা অস্ত্রের পাশাপাশি রাসায়নিক, ইট এবং বোতলও নিক্ষেপ করেছে। জরুরি অবস্থা ঘোষণার পর ওয়াশিংটন ডিসির নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য কার্ফু জারি হয়। এছাড়া জরুরি পণ্য সরবরাহের বিশেষ পরিষেবা সহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে পারবে শহর কর্তৃপক্ষ।আগামী ২১শে জানুয়ারি দুপুর ৩টে পর্যন্ত এই ঘোষণা বলবৎ থাকবে। এদিকে উত্তেজনা প্রশমনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বত্র সোশ্যাল মিডিয়া নজরদারি চলছে।বিবিসি জানাচ্ছে, ফেসবুক, টুইটার ও ইউটিউবে সমর্থকদের প্রতি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্ররোচনামূলক বক্তব্যের ভিডিও সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।


































































































































