কখনও বেশি, কখনও কম। তবু মোটের উপর ভারতে করোনা সংক্রমণ (corona infection) অব্যাহত রয়েছে। নতুন বছরেই পরপর দুদিনে দুটি করোনা ভ্যাকসিনকে জরুরি প্রয়োগের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। প্রথমটি অক্সফোর্ড- অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড (covishield) ও দ্বিতীয়টি ভারত বায়োটেক ও আইসিএমআরের কোভ্যাক্সিন (covaxin)। তবে এরই মধ্যে শেষ ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৬,৫০৫ জন। এই সময়ের মধ্যে মৃত্যু (death) হয়েছে ২১৪ জনের। নতুন সংক্রমণ ও মৃত্যুর জেরে ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৩ লক্ষ ৪০ হাজার ৪৭০। এরমধ্যে অ্যাক্টিভ আক্রান্তের সংখ্যা (active cases) ২ লক্ষ ৪৩ হাজার ৯৫৩। দেশে মোট মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৪৯ হাজার ৬৪৯ জনের। অন্যদিকে সুস্থ (recovery) হয়ে উঠেছেন ৯৯ লক্ষ ৪৬ হাজার ৮৬৭ জন। শেষ ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছেন ১৯ হাজার ৫৫৭ জন।
এদিকে করোনা মোকাবিলায় জরুরি ব্যবহারের প্রয়োজনে ডিসিজিআই কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনকে ছাড়পত্র দিয়েছে। এর মধ্যে ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ভ্যাকসিন, যা সরকারি ছাড়পত্র পেয়েছে। এর আগে অক্সফোর্ড- অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ডকে অনুমোদন দেওয়া হয়। কোভিশিল্ডের সরবরাহকারী সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আদর পুণাওয়ালা জানিয়েছেন, এদেশের ১০ কোটি মানুষকে মাত্র ২০০ টাকায় করোনা ভ্যাকসিন সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এরপর কেন্দ্র অনুমোদন দিলে ভ্যাকসিনের বাণিজ্যিক মূল্য ১০০০ টাকা করা হবে। ডিসিজিআই জানিয়েছে, অক্সফোর্ডের কোভিশিল্ড ৭০ শতাংশেরও বেশি নিরাপদ। কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন দুটিকেই দুই থেকে আট ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে সংরক্ষণ করা যাবে। আগামী ১০ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে গণ টিকাকরণের জন্য এই দুই ভ্যাকসিনকে ব্যবহার করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

































































































































