একেই বলে বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরো! অপছন্দের লোকদের কথায় কথায় পাকিস্তানে চলে যাওয়ার নিদান দেয় যে ভারতীয় জনতা পার্টি, তার শাসনক্ষমতায় থাকা রাজ্যেই কিনা নির্বাচিত পঞ্চায়েত প্রধান এক পাকিস্তানি মহিলা (Pakistani lady)! বিজেপি (bjp) শাসিত উত্তরপ্রদেশের (uttar pradesh) এটাহ জেলার ঘটনা। আর এই খবর সামনে আসতেই চূড়ান্ত অস্বস্তিতে যোগীরাজ্যের পুলিশ-প্রশাসন। বৈধ কাগজপত্র না দেখিয়েও কীভাবে ও কাদের মদতে আধার আর ভোটার কার্ড করিয়ে পাকিস্তানের নাগরিক পঞ্চায়েত প্রধান হয়ে গেলেন, তা ভেবে কূলকিনারা পাচ্ছে না প্রশাসন।
জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের এটাহ জেলার গুয়াদাউ গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান আদতে একজন পাকিস্তানি মহিলা। নাম বানো বেগম। কীভাবে ঘটে গেল এই ঘটনা? ভিসা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এদেশে থাকার পর কীভাবে তিনি আধার কার্ড বা ভোটার কার্ড পেলেন? এখনও তার শিকড়ে পৌঁছতে পারেনি পুলিশ। আশঙ্কা, এর পিছনে বড়সড় চক্র কাজ করছে। যোগী আদিত্যনাথ সরকার এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
জানা গিয়েছে, ৩৫ বছর আগে ভিসা নিয়ে ভারতে এক আত্মীয়ের বাড়ি এসেছিলেন বানো বেগম নামে ওই মহিলা। সেখানে আখতার আলি নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। ভিসা নিয়েই তিনি থাকছিলেন একসঙ্গে। নাগরিকত্বের জন্য আবেদনও করেছিলেন। ২০১৫ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে জিতে গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। পাঁচ বছর পর তৎকালীন পঞ্চায়েত প্রধানের মৃত্যুর পর বানোই অন্তবর্তী প্রধান হন। ‘গ্রামপ্রধান একজন পাকিস্তানি’, এই অভিযোগ নিয়ে গ্রামেরই এক বাসিন্দা থানায় পুলিশের দ্বারস্থ হন। আর সেখান থেকেই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এই খবর প্রশাসনের কাছে যাওয়ার পরই পঞ্চায়েত প্রধানের পদ থেকে বানোকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করতে নেমেছেন জেলার পঞ্চায়েতিরাজ অফিসার অলোক প্রিয়দর্শী এবং জেলাশাসক শুক্লা ভারতী। প্রিয়দর্শী বলেন, জালিয়াতি ও তথ্য গোপন করেই ওই মহিলা আধার কার্ড এবং ভোটার কার্ড পেয়েছেন। যাঁরা তাঁকে সাহায্য করেছেন, ধরা পড়লে তাঁদেরও কড়া শাস্তি দেওয়া হবে, ছাড়া পাবেন না কেউই।
আরও পড়ুন-রবিবারের সকালে ফুরফুরায় গিয়ে আব্বাসের সঙ্গে বৈঠকে ওয়েসি