এবার হামলার শিকার হলেন মালদহের চাঁচলের এক ব্যক্তি। প্রধানমন্ত্রীর নামে কটুক্তির প্রতিবাদ করায় ওই বিজেপি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। ঘটনার লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় চাঁচল থানায়। অন্যদিকে বিজেপির এই অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের দাবি, মারধরের সংস্কৃতি তৃণমূলের নয় গ্রাম্য বিবাদের জেরে এই ঘটনা।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর নাম অমর চন্দ্র দাস। তিনি মালদহের চাঁচল থানার আশ্রমপাড়া এলাকার বাসিন্দা। গতকাল রাতে চাঁচল বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় জল আনতে যান তিনি। অভিযোগ সেই সময় কয়েকজন ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্বন্ধে কটুক্তি করছিলেন। এরই প্রতিবাদ করেছিলেন তিনি। অভিযোগ প্রতিবাদ করায় তাকে মারধর করা হয়। গুরুতর আঘাত পান চোখে। এই ঘটনার সাথে তৃণমূল জড়িত বলে অভিযোগ তার। ঘটনা লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে চাঁচল থানায়।
আক্রান্তের অভিযোগ, “আকাশ শেখ, বাবুয়া শেখ এবং আরো দশ বারো জন মিলে আমার উপর হামলা চালায়। সন্ধ্যাবেলা জল আনতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদির নামে কটুক্তি শুনতে পাই। প্রতিবাদ করলে আমায় ঘেরাও করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে শ্লোগান দিতে শুরু করে এবং আমাকে অমানবিক ভাবে মারে। এবং পরবর্তীতে আমাকে প্রানে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছে তারা।”
বিজেপি এগারো নম্বরের মন্ডল অবজার্ভার প্রসেনজিৎ শর্মা বলেন ,”প্রধানমন্ত্রীর সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করায় আমাদের বিজেপি কর্মী অমর দাসকে গুরুতরভাবে আহত হতে হয়েছে তৃণমূল কর্মীদের হাতে। বাংলায় যে নৈরাজ্যের সৃষ্টি হয়েছে সেখানে সাধারণ মানুষ সুরক্ষিত নয়। পুলিশ নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। এই সরকারের কাছে সাধারণ মানুষের সুরক্ষা নিয়ে আমরা চিন্তিত।

যদিও সমস্ত রকম অভিযোগ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন মালদা জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ রফিকুল হোসেন। তিনি বলেন,” মারধরের সংস্কৃতি তৃণমূলের নয় গ্রাম্য বিবাদের জেরে এই ঘটনা! আর যার দায় চাপাতে আসছে তৃণমূলের উপর!পুলিশকে বলব ঘটনার সঠিক তদন্ত করতে!”
আরও পড়ুন- ‘আমি গরুর মাংস খেতে পছন্দ করি, আপনি কে প্রশ্ন করার?’ বিস্ফোরক সিদ্দারামাইয়া






























































































































