কাশ্মীরের আপেল চাষিরা এমনিতেই ন্যায্য মূল্য পান না বলে অভিযোগ দীর্ঘদিনের । এবার জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনের নির্দেশে উপত্যকায় ১০ হাজারের বেশি আপেল গাছ কেটে ফেলা হল। যথেচ্ছভাবে প্রশাসনের এই আপেল গাছ নিধনে মাথায় হাত কয়েক হাজার পরিবারের ।
কারণ, তারা বাগানগুলো করেন খুবই যত্নসহকারে। সারা বছরই ওই বাগান থেকে রোজগারের টাকায় চলে সংসার।গত কয়েক দশক ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে সযত্নে এই আপেল বাগানগুলো তারা তৈরি করেছেন। এবার সরকারি বুলডোজারের নিচে ধুলোয় মিশে গিয়েছে সব।
মধ্য কাশ্মীরের বদগাম জেলার কানিদাজান-সহ আশেপাশের এলাকাতেই মূলত আপেল গাছ নিধন শুরু হয়। গুর্জর এবং বাখরওয়াল, এই দুই মুসলিম যাযাবর গোষ্ঠীর সেখানে বাস করে। ১৯৯১ সালে তফসিলি উপজাতি হিসেবে স্বীকৃতিও পায় এই দুই গোষ্ঠী। তাদের আপেল বাগানেই নিধন যজ্ঞ চালিয়েছে বন দফতর।
জানা গিয়েছে, এলাকায় মাটির কুঁড়েঘর বানিয়ে এত দিন থাকছিলেন ওই দুই গোষ্ঠীর মানুষ। সেগুলিও গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
গত ১০ নভেম্বর, বনদফতরের ৫০ জন কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে সারা দিনে প্রায় ১০ হাজার আপেল গাছ কেটে ফেলা হয় উপত্যকায়।
কাশ্মীরে আপেল বাগানগুলি বন দফতরের জমির ওপর তৈরি বলে দাবি সরকারের। যদিও সাত পুরুষ ধরে সেখানে আপেল চাষ করে আসছেন গুর্জর এবং বাখরওয়ালরা। শুধু এই গুর্জর এবং বাখরওয়ালরাই নন, দেশের ১০ লক্ষের বেশি তফসিলি উপজাতি এবং বনবাসীরা বন অধিকার আইন ভোগ করেন। অর্থাৎ বনাঞ্চলে বসবাসের অধিকার যেমন রয়েছে তাদের, তেমনই সেখানে বসবাসের অধিকারও রয়েছে তাদেরই। কাগজে কলমে ওই জমির উপর মালিকানাও ভোগ করেন তারা।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.