সৌমেন্দু অধিকারীকে ( Soumendu Adhikari) কাঁথি ( Contai) পুরসভার প্রশাসক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ায় তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করলেন তাঁর দাদা তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী (Dibyendu Adhikari)৷ শুধুই ক্ষোভপ্রকাশ নয়, মঙ্গলবার রাতে সাংসদ জানিয়েছেন, এই ঘটনার প্রতিবাদে কাঁথি পুরসভায় তাঁর যে অফিস রয়েছে তাতে বুধবার থেকে আর বসবেন না তিনি।
এদিন দিব্যেন্দু বলেছেন, “কাঁথি পুরসভার প্রশাসক পদ থেকে সৌমেন্দুর অপসারণ দুর্ভাগ্যজনক। ৫০ বছর ধরে কাঁথি পুরসভা পরিচালনা করছে অধিকারী পরিবার। যেভাবে সৌমেন্দুকে সরানো হলো তার প্রতিবাদে বুধবার থেকে পুরসভায় আমার যে দফতর রয়েছে সেখানে আর না বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি”। তৃণমূলের সাংসদ দাবি করেছেন, সৌমেন্দুকে সরিয়ে যে ব্যক্তিকে পুরসভার প্রশাসক পদে বসানো হয়েছে তিনি কাঁথি পুর এলাকার ভোটারই নন”।
পাশাপাশি দিব্যেন্দু অধিকারী জোরালোভাবেই জানিয়েছেন, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি তাঁর আস্থা অটুট৷ তিনি বলেছেন, “আমি তৃণমূলের সাংসদ। আমার বাবা দলের জেলা সভাপতি। সৌমেন্দুও দল ছাড়েনি”৷
রাজ্যের পুর দফতর মঙ্গলবার কাঁথি পুরসভার প্রশাসক সৌমেন্দু অধিকারীকে সরিয়ে সেই জায়গায় বসিয়েছে সিদ্ধার্থ মাইতিকে৷ নতুন প্রশাসক সিদ্ধার্থ মাইতি রামনগরের তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরির ঘনিষ্ঠ৷ তৃণমূলের অভিযোগ, সৌমেন্দু অধিকারী ওই পদে থেকে দলবিরোধী কাজ করছিলেন। সে কারনেই তাঁর অপসারণ জরুরি ছিল।
মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত এই বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বা শিশির অধিকারীর ( Sisir Adhikary)-র কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন- দেশে করোনায় মৃতদের মধ্যে ৭০ শতাংশই পুরুষ, জানালো কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক