বিশ্বভারতী কে চ্যালেঞ্জ জানাতে তৈরি বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয়

0
1

রবি ঠাকুরের (Rabindranath tagore)মুক্তচিন্তা দর্শনকে পাথেয় করে পথ চলা শুরু করতে চলেছে ‘বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয়'(Bishwa Bangla University)। বিশ্বভারতী (viswavarati)আছে বিশ্বভারতীর মতই । কিন্তু বিশ্বভারতীর অদূরেই মাথা তুলে দাঁড়াতে চলেছে নির্মীয়মান আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয়’। সোমবার বোলপুরের(Bolpur) প্রশাসনিক বৈঠকের মঞ্চ থেকে সেই যাত্রাপথের মূল সুর বেঁধে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (chief minister mamata Banerjee)। বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য নিযুক্ত হয়েছেন বিশ্বভারতীর প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য স্বপন দত্ত।

বোলপুরের প্রশাসনিক সভার মঞ্চ থেকেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন রাজ্য প্রশাসন ঠিক কী চাইছে। উপাচার্যের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমি চাই বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয়েও সংস্কৃতির প্রকাশ ঘটুক। এখানকার ছাত্র-ছাত্রীরা নৃত্যু, সঙ্গীত, শিল্পকলা বিভিন্ন বিষয়ে পারদর্শী হোক’। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্বভারতীতে যেভাবে পৌষমেলা থেকে শুরু করে সবই আস্তে আস্তে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে । আপনারা ওগুলো নিয়ে নিন। মানে নিজেদের জায়গায় নিয়ে নিন’। বিশ্বভারতীর পাঁচিল বিতর্কও নতুন নয়। পাঁচিলের প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সব জায়গায় পাঁচিল তুলে দিলে তো সেলফিশ জায়ান্ট এর কথা চলে আসবে। আমরা চাই রবীন্দ্রনাথের মুক্ত শিক্ষার আদর্শ আপনারা এখানে নিয়ে আসুন। আর স্বপনবাবু যেহেতু বিশ্বভারতীতে উপাচার্যর দায়িত্ব সামলেছেন তাই তিনি সবটাই জানেন।

২০১৭ সালে বোলপুর সংলগ্ন শিবপুরে বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণের ঘোষণা হয়। ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ প্রায় ৭০- ৮০ শতাংশ শেষ হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বাকি কাজ দ্রুত শেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় চালু করার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

উপাচার্য স্বপনবাবু জানিয়েছেন, ২০ একর জায়গাজুড়ে ক্লাসরুম, ছাত্রিনিবাস, কলাভবন, বিজ্ঞান বিভাগ, কার্যালয়, স্পোর্টস কমপ্লেক্স-সহ বিভিন্ন নির্মাণের কাজ চলছে। মোট বরাদ্দ ৩৬০ কোটি টাকারও বেশি। আগামী জানুয়ারি থেকেই বাংলা, ইতিহাস, ইংরেজি বিভাগে স্নাতকোত্তরে ভর্তি শুরু হবে। স্বপনবাবু বলেন, এখন অনলাইনে ক্লাস হবে। ছয় মাসের মধ্যেই নির্মাণের কাজ কিছুটা সম্পূর্ণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ২০২২ সালের শুরুতেই বিশ্ববিদ্যালয় সম্পূর্ণ চেহারা লাভ করবে বলেও আশাবাদী তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের ভিত্তিতে তিনি বলেন, বিশ্ব বাংলার আইনে রাবীন্দ্রিক চিন্তাভাবনাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বাংলার কৃষ্টি, সংস্কৃতি-সাহিত্য কলা প্রভৃতিকে জাতীয় তথা আন্তর্জাতিক স্তরে পৌঁছে দেওয়ার প্রচেষ্টায় রয়েছি আমরা।