জিও-র ১৫০০ মোবাইল টাওয়ার ভাঙচুর কৃষকদের, পঞ্জাবে ব্যাহত পরিষেবা

0
4

কৃষি আইন(Farm law) প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন জারি রয়েছে কৃষকের(Farmer)। কৃষকদের অভিযোগ এই আইনের জেরে উপকৃত হবে আদানি আম্বানিদের মত কর্পোরেট সংস্থাগুলি। যদিও আইন প্রত্যাহারের নারাজ ভারত সরকার। এহেন অবস্থায় কৃষকদের রাগ গিয়ে পড়ল মুকেশ আম্বানির সংস্থা রিলায়েন্স জিও-র ওপর। পঞ্জাবের কৃষকরা ভাঙচুর চালালেন রাজ্যের ১৫০০ টিরও বেশি জিও মোবাইল টাওয়ারে(Jio Mobile tower)। যার জেরে পঞ্জাবে কার্যত অচল জিও-র পরিষেবা।

বিক্ষুব্ধদের এহেন কাণ্ডে রীতিমতো নারাজ পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং(Amarinder Singh)। তিনি ইতিমধ্যেই কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, পাঞ্জাবে রিলায়েন্স জিওর ৯০০০ টাওয়ার রয়েছে। তারমধ্যে ১৫০০টিরও বেশি টাওয়ার নষ্ট হয়ে যাওয়ায় পরিষেবা দিতে যথেষ্ট সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে রিলায়েন্স জিও কে। জিওর তরফে জানানো হয়েছে যেভাবে তাদের টাওয়ার ভাঙচুর হয়েছে, বিদ্যুতের তার কেটে নেওয়া হয়েছে, এমন কি জেনারেটর চুরি হয়েছে তাতে পরিষেবা দেওয়া তাদের পক্ষে যথেষ্ট অসুবিধাজনক হয়ে উঠেছে। সরকারের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের কোনও আপত্তি নেই, কিন্তু এই ধরনের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।কোনভাবেই সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তির ভাঙচুর মেনে নেওয়া হবে না।

আরও পড়ুন:মমতার রোড শো: সেজে উঠেছে বোলপুর

প্রসঙ্গত গত সপ্তাহে কৃষকদের রাগ গিয়ে পড়েছিল রিলায়েন্সের উপর। জলন্ধরে জিওর বেশ কয়েকবার ফাইবার কেবল পুড়িয়ে দেওয়া হয় বিক্ষুব্ধ কৃষকদের তরফে। জিও কর্মচারীদের হুমকি দিয়ে বাধ্য করা হয় এলাকা ছাড়তে। তবে এহেন কর্মকান্ডের পর পুলিশের তরফে কোনওরকম ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। যদিও সরকারের তরফে কৃষকদের জানানো হয়েছে এই ধরনের বেআইনি কাজকর্মের জেরে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন পড়ুয়ারা। কোন পরিস্থিতির কারণে যারা বাড়ি থেকে কাজ করছেন সেই সমস্ত চাকুরীজীবীরা।দেশের ব্যাংকিং পরিষেবা ও এখনতো বেশিরভাগটাই অনলাইনে ফলে কৃষকদের এই ধরণের কর্মকান্ড না করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং।