আমাদের সবার প্রিয় বড়দিন। আর এই বড়দিনে কেক খাওয়া চাই সবার । কিন্তু জানেন কী কেমন করে শুরু হল বড়দিনে কেক খাওয়ার এই রেওয়াজ ?
ইতিহাসের তথ্য বলছে, প্রথম ক্রিসমাস উদযাপন হয় রোমান সম্রাট কনস্টানটাইনের আমলে ৩৩৬ খ্রীস্টাব্দে। ক্রিসমাসে কেক খাওয়ার প্রচলন অবশ্য আরও পরে শুরু হয় । ক্রিসমাসের আগের দিন উপবাস করার নিয়ম ছিল।
উপবাস ভাঙ্গা হত প্লাম পরিজ খেয়ে। ক্রিশ্চানরা মনে করতেন পেটে পরিজের পরত পড়লে পরের খাবার গুলো খেয়ে শরীর খারাপ হবে না। এরপর পরিজ বানানো শুরু হয় ড্রাই ফ্রুটস দিয়ে। ক্রমশ মশলা‚ মধু মিশিয়ে পরিজ হয়ে ওঠে ক্রিসমাস পুডিং। ষোড়শ শতকে ওটমিলের বদলে ময়দা‚ চিনি আর ডিম দিয়ে তৈরি করা হয় সেদ্ধ প্লাম কেক। সেই সময় ধনী ব্যক্তিরা ওভেন ব্যবহার করতেন । তাঁরা ইস্টারের কেকের স্টাইলে ড্রাই ফ্রুটস আর প্রাচ্যের মশলা মিশিয়ে তৈরি করতে শুরু করেন আজকের দিনের প্রচলিত ক্লাসিক ক্রিসমাস কেক।
রানি ভিক্টোরিয়ার আমলে ইংল্যান্ডে বাড়তে লাগল প্লাম কেকের চাহিদা। তবে শুধু ক্রিসমাসে না, যে কোনও উৎসব বা আনন্দ উদযাপনের অঙ্গ হিসাবেই খাওয়া হত কেক। তবে উনিশ শতকের শেষদিকে এসে ক্রিসমাস সপ্তাহের দ্বাদশ দিনটির উদযাপন নিষিদ্ধ করেন রানি।
এদিকে কেক বিক্রেতারা পরেন মহা ফাঁপড়ে। সেই দিনটির জন্য তৈরি করা কেকগুলি তাই ক্রিসমাসের আগে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেন তারা। তারপর থেকেই ক্রিসমাসের আগে কেক বিক্রি এবং তা কেনার হিড়িক পড়ে যায় বিশ্ব জুড়ে৷ আজও কিন্তু বড়দিনে মানে ২৫ ডিসেম্বর এক টুকরো কেক না খেলে আমজনতার মন খুঁত খুঁত করে।

































































































































