জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) পরে কোচবিহার (Coochbehar)- বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Benarjee)। এদিন তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে দল ভাঙার অভিযোগ তোলেন। সেখানে তিনি জানান তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির (Subrata Baksi) কাছে বিজেপি থেকে ফোন এসেছে। সেখানে তাঁরা সুব্রত বক্সির সঙ্গে বসতে চেয়েছেন বলে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের(Anubrata Mandal) কাছেও ফোন আসে। অনুব্রত মণ্ডল তাঁদের জানিয়েছেন, “আমি তোমাদের সঙ্গে কেন আলোচনায় বসব? আমি তৃণমূল কংগ্রেসে আছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার নেতা”।
বুধবার, কোচবিহার রাসমেলার মাঠে এক কর্মীসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর দল ভাঙাতে বিজেপি টাকা হাতে নিয়ে কোমর বেঁধে নেমেছে বলে অভিযোগ করেন। এরপরেই তিনি বলেন, “বিজেপির কী সাহস! এঁরা কি না আমার দলের রাজ্য সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ সুব্রত বক্সিকে ফোন করে বসতে চেয়েছে”।
এর পরেই তৃণমূল নেত্রী তাঁর দলের বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ করেন, “কদিন আগে দিল্লির এক বিজেপি নেতা অনুব্রতকে ফোন করে বসতে চেয়েছিলেন”।
এই দুটি দৃষ্টান্ত দেওয়ার পরে তৃণমূল নেত্রী জানান, বিজেপির রাজনৈতিক সৌজন্যবোধ নেই বলেই একটা দলের রাজ্য সভাপতিকে ফোন করে বসতে চায়। তিনি জানিয়ে দেন, সুব্রত এবং অনুব্রত দুজনেই বিজেপির নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসার অনুরোধ প্রত্যাহার করেছেন।
এদিন দল ভাঙানোর প্রসঙ্গে নেতা-কর্মীদের যেমন সতর্ক করেছেন, তেমন বিজেপিকে হুঁশিয়ার করেছেন মমতা। কটাক্ষ করে বলেন, দু-একজন এবার ভোটে টিকিট পাবে না বলেই ওই দলে ভিড়েছে। কিন্তু, বেশির বাগ তৃণমূল নেতা-কর্মীরাই বিজেপিকে প্রতিরোধ করবেন বলে আশা তৃণমূল নেত্রীর।
ওই সভা থেকেই মমতা মহিলাদের পরামর্শ দেন, কেউ টাকা দিতে গেলে কিংবা ভয় দেখালে হাতা-খুন্তি উঁচিয়ে প্রতিবাদ করলেই দেখবেন তাঁরা পালিয়ে যাবে।
আরও পড়ুন-টাকা বাঁচাতে জেলের ভয়ে বিজেপিতে যাচ্ছে: কাকে বললেন মমতা?