দলেরই ‘ক্ষুব্ধ’ সাংসদকে ম্যানেজ করতে ব্যর্থ হয়েছেন বিজয়বর্গীয়৷ তাই বাংলা-সফরে এসেও এবার মতুয়া এলাকায় যাচ্ছেন না কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। বঙ্গ-বিজেপির আশঙ্কা, শাহ সেখানে গেলে মতুয়াদের (Matua) বিক্ষোভের মুখে পড়তে পারেন৷
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ( Mamata Banerjee) দিনকয়েক আগে বনগাঁয় গিয়ে মতুয়া সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে বলেছেন, মতুয়ারা এ দেশেরই নাগরিক এবং আলাদা ভাবে তাঁদের আর কোনও পরিচয়পত্রের দরকার নেই৷ মতুয়াদের প্রতি তাঁর এই মনোভাবকে স্বাগত জানিয়েছেন বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর (Santanu Thakur)। এর পরই শাহের মতুয়া-কর্মসূচি স্থগিত হওয়া যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
অমিত শাহের এবারের বঙ্গ-সফরের কথা ঘোষণা করে প্রথমে রাজ্য বিজেপির তরফে বলা হয়েছিলো, এই সফরে শাহ উত্তর ২৪ পরগনার মতুয়া অধ্যুষিত এলাকায় যাবেন এবং নয়া নাগরিকত্ব আইন নিয়ে তাঁদের আশ্বাস দেবেন। কিন্তু বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর মতুয়াদের নাগরিকত্বের প্রশ্নে কেন্দ্রের ভূমিকা আদৌ ইতিবাচক নয় বলে প্রশ্ন তুলেছেন৷ শান্তনু ঠাকুরকে বোঝানোর চেষ্টা করতে কৈলাস বিজয়বর্গীয় তাঁর বাড়িতে পর্যন্ত যান৷ কিন্তু লাভ হয়নি৷ নিজের তোলা দাবিতে এখনও অনড় শান্তনু ঠাকুর৷ ফলে শাহি-সফরের কর্মসূচি থেকে মতুয়া এলাকা বাদ দেওয়া ছাড়া বিকল্প কোনও পথ ছিলোনা অসহায় বিজেপির৷ শাহের যে কর্মসূচি রাজ্য বিজেপিকে জানানো হয়েছে, সেখানে উত্তর ২৪ পরগনা নেই। স্পষ্ট করা হয়েছে, শাহ মতুয়া এলাকায় যাবেন না। ওই এলাকা শাহ এড়িয়ে যাওয়ার অর্থ নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মতুয়াদের সামনে যেতে দু’বার ভাবছেন তিনি৷ তবে রাজ্য বিজেপির রুটিন দাবি, পরের বার মতুয়াদের কাছে যাবেন শাহ।
প্রসঙ্গত, শনিবার ১৯ ডিসেম্বর দু’দিনের সফরে রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ৷ তাঁর কর্মসূচিতে বলা হয়েছে, সেদিনই তাঁর মেদিনীপুর যাবেন৷ পর দিন রবিবার শাহের যাওয়ার কথা বোলপুরে। বিশ্বভারতীতে একটি কর্মসূচি রয়েছে৷ এর বাইরে একটি রোড শো এবং সভারও আয়োজন হচ্ছে।
আরও পড়ুন-কঙ্কাল কাণ্ডে ঘটনার পুনর্নির্মাণে সল্টলেকের বাড়িতে ফের ফরেনসিক টিম
 
 
 
 





























































































































