জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের দাবি বিজেপি নেতা সুব্রহ্মমণ্যম স্বামীর : বাংলা পক্ষের প্রচার

0
4

বাঙালির ঠাকুর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জনগণমনকে বদলানোর হুমকি দিয়েছে হিন্দি সাম্রাজ্যবাদী বিজেপির বাঙালি বিরোধী নেতা সুব্রামানিয়াম স্বামী। বাঙালি জাতি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জাতীয় সংগীতের এই অপমানের জবাব বাংলা পক্ষর নেতৃত্বে বাঙালি জাতি দেবে। যেখানে বাঙালির শত্রুদের পাবে, সেখানে। সেই জবাবের আগুনে ঝলসে যাওয়ার ভয়ে যদি বাঙালির শত্রুরা বাংলায় ঢুকতে ভয় পায়, তার দায় তাদের। দিল্লির হিন্দি সাম্রাজ্যবাদীরা কোন গান, কোন শব্দকে এবার জাতীয় সংগীত মনে করবে তাতে বাঙালির কিছু আসে যায় না । আমাদের জাতীয় সংগীত জনগণমন ছিল আছে থাকবে। যেমনটা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখে গেছেন ঠিক তেমনটা। এই হিন্দি সাম্রাজ্যবাদীরা জনগণমনকে এতদিন জ্যানাগ্যানাম্যানা বলে বিকৃত করেছে। তাতে যোগ দিয়েছে বাঙালির ঘরে জন্মালো হিন্দি সাম্রাজ্যবাদের দালালরা। বাংলা পক্ষ এই নিয়ে বারবার রাজপথে নেমে প্রতিবাদ করেছে। কিন্তু এবার আর প্রতিবাদ নয়। জনগণমন বদলালে আর প্রতিবাদ হবে না । হবে প্রতিরোধ এবং দরকার পড়লে প্রতিশোধ। হিন্দি সাম্রাজ্যবাদের দালালরা সাবধান।

এই হিন্দি সাম্রাজ্যবাদীরাই কুখ্যাত উর্দু সাম্রাজ্যবাদী, রবিঠাকুর বিদ্বেষি পাকিস্তানপন্থী ইকবালের লেখা উর্দু গান ভারতীয় সেনাবাহিনীর কুচকাওয়াজের অংশ করেছে। এখানেই শেষ নয়। হিন্দি সাম্রাজ্যবাদীরা রাষ্ট্রগান বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বন্দেমাতরম-এর শব্দ বিকৃত করেছে। উচ্চারণ বিকৃত করেছে। তৎকালীন বাংলার হিন্দু মুসলমান সম্মিলিত সাত কোটি জনগণের কথা উঠে এসেছে যে ‘সপ্তকোটি’ শব্দে, তাকে বদলে বানিয়ে দিয়েছে কোটি কোটি। যাতে ভুলিয়ে দেওয়া যায় যে এই গান বঙ্গমাতার। যা বাঙালি ধার দিয়েছে ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রকে। বন্দে মাতরমের বিকৃতি করা হয়েছে নিরন্তর । কখনো সুর বদলে, কখনো হিন্দিভাষীদের বিকৃত ‘ভ্যান্দেমাতারাম’ উচ্চারণকে সরকারি ও বলিউডি মান্যতা দিয়ে। বাঙালির শত্রুদের স্পর্ধা বাড়তে বাড়তে আজ এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে তারা জনগণমন বদলে দিতে চায় । তাদের সাংসদ স্বামীর দ্বারা বাঙালির উপর এই থুতু ছেটানোর বিষয়ে বিজেপির দিল্লির নেতারা, এমনকি তাদের বাংলা শাখার নেতারাও চুপ। একদিকে যখন চলছে রবীন্দ্রনাথের উপর আক্রমণ, সেই সময় চলছে ভারতের বাঙ্গালিদের বাংলাদেশি দাগানো। ডিটেনশন ক্যাম্পে ভরা এবং খুন করার প্রক্রিয়া।

আরও পড়ুন : জাতীয় সঙ্গীত বদলাতে চান স্বামী ! কী বললেন সুখেন্দুশেখর?

এতদিন সব রাজনৈতিক দল চালিয়েছে ইউপি-বিহার তোষণ । আজ সময় দ্রুত বদলাচ্ছে। বাংলাপক্ষ গঠিত হয়েছে বাংলার জেলায় জেলায়, গ্রামে-শহরে। বাঙালির যুবরা এতদিন ধরে করে আসা অপমানের জবাব দিতে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের পাটকেল জমানো শুরু করেছে । বাঙালির শত্রু যেখানে, লড়াই হবে সেখানে। ওই বাঙালি আর সে বাঙালি নেই । সময় বদলাচ্ছে। বাঙালি বদলাচ্ছে।

বন্দে মাতারাম
জয় বাংলা