ডায়মন্ড হারবারে সভায় যাওয়ার পথে জেপি নাড্ডার ওপর হামলার ঘটনায় রাজনৈতিক উত্তাপ ক্রমশ বাড়ছে। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির ওপর হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৎপর হয়ে উঠেছে কেন্দ্রীয় সরকারও। এবার নাড্ডা ইস্যুকে হাতিয়ার করে তৃণমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানালেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। পাশাপাশি পুলিশকেও হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি।

শুক্রবার মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর ও নারায়ণগড়ে দুটি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন খড়্গপুরে একটি দলীয় কার্যালয়ের উদ্বোধনে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি। সেখানেই জনসভা করে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘আমাদের সভাপতি যখন কনভয় করে যাচ্ছিলেন তখন বড় বড় ইট মেরে গাড়ি ভাঙা হয়েছে। চোট লেগেছে নেতাদের। কোথাও আমরা সভা করতে গেলে সেখানে রাস্তা আটকানো হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেরে যাবেন বুঝতে পেরেছেন। তাই আটকাচ্ছেন। রাস্তাঘাটে সর্বত্র শুনছেন জয় শ্রীরাম। তা শুনেই রক্তচাপ বাড়ছে। সেটা আরও বাড়বে। মাথাটা খারাপ করে ছাড়ব।’
তবে এখানেই থেমে থাকেনি দিলীপ ঘোষ। সুর চড়িয়ে তিনি আরও বলেন, ‘ওনারা এখানে ঢিল মারছেন পাটকেল মারছেন। এর বাইরে কিন্তু আমাদের সরকার রয়েছে। আমি যদি একটা ফোন করি..’ এরপর কার্যত শাসানির সুরে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘তুড়ি মেরে গায়েব করতে পারি।’ তার কথায়, ‘এখানকার যেসব নেতা পঞ্চায়েতের টাকা মেরে বাইক কিনেছেন। এখান থেকে খড়গপুর মেদিনীপুর যান। আমরা কি আটকাতে পারি না? একটা হাত কেটে রেখে দিতে পারি। একটা কান কেটে রেখে দিতে পারি। আমরা ওই রাস্তায় হাঁটিনি। কিন্তু মনে করবেন না আমরা পারি না। প্রয়োজনে এর নমুনা দেখাবো। আমি ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত সময় দিয়েছি। এর মধ্যে যদি সোজা না হয়, জানুয়ারি থেকে সোজা করা শুরু করব।’
আরও পড়ুন:একযোগে মুকুল-শমীকের আক্রমণ নাড্ডার ঘটনা নিয়ে
এরপরই রাজ্য পুলিশকে নিশানায় নেন দিলীপ। কড়া সুরে তিনি বলেন, ‘বিজেপি নেতা কর্মীদের ওপর হামলা হচ্ছে অথচ পুলিশ দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। এতো কিছু হয়ে যাওয়ার পরও বলছে কিছু হয়নি।’এরপর আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়িয়ে তিনি বলেন, ‘পুলিশের অশোক স্তম্ভের সম্মান দেব। তাঁদের পোশাকের সন্মান দেব। কিন্তু পুলিশকে প্রমাণ করতে হবে, কারা মেরেছে ইট। যারা এটা করেছে তাদের কোমরে দড়ি বেঁধে জেলে ঢোকাতে হবে।’


































































































































