১৭ ডিসেম্বর চিলাহাটি হয়ে ভারতের সঙ্গে ট্রেন চলাচল শুরু

খায়রুল আলম, ঢাকা

0
1

নীলফামারীর চিলাহাটি থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের হলদিবাড়ি পর্যন্ত ট্রেনে চলাচল কার্যক্রম শুরু হবে ১৭ ডিসেম্বর। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার দুপুরে নীলফামারী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম ।

রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম বলেছেন, ‘এ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের চাহিদা আমরা পূরণ করতে যাচ্ছি। ১৭ ডিসেম্বর নীলফামারী জেলার চিলাহাটি হয়ে ভারতের সঙ্গে রেল যোগাযোগ পুনঃস্থাপন কার্যক্রমের উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে ওই চাহিদা পূরণ হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ওই দিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ওই রেলপথ উদ্বোধন করবেন।’

বৃহস্পতিবার দুপুরে নীলফামারী জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে ওই রেলপথ উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রেলপথমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান চৌধুরী।

এই রেলপথ স্থাপনের প্রেক্ষাপট সম্পর্কে প্রস্তুতি সভায় রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম বলেন, ‘১৯৬৫ সালের আগে পর্যন্ত এ পথ দিয়ে দুই দেশের মধ্যে নিয়মিত রেল যোগাযোগ চালু ছিল। সে সময়ে পথটি ব্যবহার করে ভারতের দার্জিলিং থেকে বাংলাদেশের খুলনা হয়ে ভারতের কলকাতা পর্যন্ত মালবাহী ও যাত্রীবাহী ট্রেনের চলাচল করত। পাকিস্তান–ভারত যুদ্ধের পর এই পথ বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর রেল–সংযোগটি চালুর উদ্যোগ নেয়।’

১৭ ডিসেম্বর পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলের মধ্য দিয়ে দুই দেশের রেল যোগাযোগের কার্যক্রম উদ্বোধনের জন্য সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ৫৫ বছর পর আবার এ পথে ভারত-বাংলাদেশ রেল যোগাযোগ শুরু হবে।

আরও পড়ুন : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্বাহী পরিচালক পদে বাংলাদেশকে সমর্থন করবে ভারত

রেল সূত্রে খবর, এ পথে ভারত-বাংলাদেশ ট্রেন চলাচল চালু করতে ভারতের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ রেলওয়ে চিলাহাটি থেকে সীমান্ত পর্যন্ত ৬ দশমিক ৭২৪ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেললাইনের নির্মাণকাজ শুরু করেছে। গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর চিলাহাটি রেলস্টেশন চত্বরে ওই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম। রেললাইন নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ৮০ কোটি ১৬ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। অপর দিকে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার হলদিবাড়ি থেকে হলদিবাড়ি সীমান্ত পর্যন্ত ৬ দশমিক ৫ কিলোমিটার রেললাইন স্থাপনের কাজ শেষ করছে ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষ।

জেলা প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, ১৭ ডিসেম্বর পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলের মধ্য দিয়ে দুই দেশের রেল যোগাযোগের কার্যক্রম উদ্বোধনের জন্য সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ৫৫ বছর পর আবার এ পথে ভারত-বাংলাদেশ রেল যোগাযোগ শুরু হবে।