“আমাকে কি আপনারা মুখ্যমন্ত্রী পদে দেখতে চান? নাকি আপনারা চান আমি পদ থেকে সরে যাই? আপনারা যা চান আমি তাই করব। কারণ ত্রিপুরাবাসীর মতামতই আমার কাছে শিরোধার্য।” বক্তা, বিপ্লব দেব। বিজেপি শাসিত ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী। এই মুহূর্তে যাঁর অপসারণের দাবি ঘিরে আন্দোলিত উত্তর পূর্ব ভারতের ছোট্ট রাজ্যটি।
দীর্ঘদিনের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে মাত্র আড়াই বছর হল ত্রিপুরায় সরকার গড়েছে বিজেপি। আর এই কম সময়ের মধ্যেই বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আর অন্তর্কলহে জেরবার ত্রিপুরার মানুষ। বামফ্রন্ট বা কংগ্রেসই শুধু নয়, খোদ রাজ্য বিজেপির একটা বড় অংশ চায় এক্ষুনি মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার থেকে সরানো হোক বিপ্লব দেবকে। কারণ তিনি এই পদের অনুপযুক্ত। কিন্তু রাজ্য বিজেপি নেতাদের এই দাবিকে পাত্তা দেননি জেপি নাড্ডা, অমিত শাহরা। তাই ক্ষুব্ধ বিপ্লব বিরোধীরা এখন রাজ্যের মধ্যে প্রকাশ্যে মুখ্যমন্ত্রীর অপসারণ দাবি করে আওয়াজ তুলছেন। সম্প্রতি বিজেপির নতুন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক বিনোদ সোনকর আগরতলায় বৈঠক করছিলেন। সেই সময় বৈঠকের বাইরে বিজেপির একাংশ বিপ্লব অপসারণের দাবিতে শ্লোগান দিতে শুরু করেন। এই ঘটনায় প্রবলভাবে মুখ পুড়েছে বিজেপির। ঘটনা অস্বীকার করেও চেপে রাখা যায়নি। এরপরই মুখ বাঁচাতে গণ-রায় নেওয়ার সিদ্ধান্ত বিপ্লব দেবের।

মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব তাঁর আবেদনে বলেছেন, আগামী ১৩ ডিসেম্বর রবিবার রাজ্যের মানুষকে আমি আগরতলার আস্তাবল ময়দানে আসার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। সেদিন আপনারা রায় দেবেন, আমি মুখ্যমন্ত্রী থাকব না কি কুর্সি ছেড়ে দেব। আপনাদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। বলা বাহুল্য বিপ্লবের এই নাটকীয় ঘোষণার পর তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। এখন অপেক্ষা, রবিবার কী হয় তা দেখার।
আরও পড়ুন-শাহের সঙ্গে তিন ঘণ্টার আলোচনা নিষ্ফলা, পরশু ফের কেন্দ্র-কৃষক বৈঠক
 
 
 
 






























































































































