বিপ্লবের মাটিতে ফের এক বিপ্লবের প্রস্তুতি নিতে চলেছে মেদিনীপুর! নেত্রী সেই মমতাই

0
1

দীর্ঘদিন পর ফের মেদিনীপুরের বুকে বিপ্লবের মাটিতে জনসভা করতে চলেছেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, সোমবার বেলা ১টায় মেদিনীপুর কলেজ মাঠে মমতার সভা ঘিরে ইতিমধ্যেই বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস। শুধু বিরোধীদের আক্রমণ নয়, আরও একটি কারণে অর্থাৎ দলের “বিদ্রোহী”দের উদ্দেশে কী বার্তা থাকে দলনেত্রীর, তা শোনার বা জানার জন্য এই সভার তাৎপর্য রাজনৈতিকভাবে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের কাছে অপরিসীম। নজর থাকছে রাজনৈতিক মহলেরও। সবমিলিয়ে রাজনীতির আতস কাচের তলায় মেদিনীপুর।

এদিকে, রবিবার সন্ধ্যায় মেদিনীপুর শহরে পৌঁছে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেত্রী আসছেন। তাঁকে একটিবার চোখের দেখা দেখতে ব্যারিকেড ভাঙা উচ্ছ্বাসের সাক্ষী ছিল গোটা মেদিনীপুর শহর। রবিবার বিকেল থেকেই রাস্তার দু’পাশে জমেছিল ভিড়। কর্মী-সমর্থক থেকে সাধারণ মানুষ—কে নেই! সময় যত গড়িয়েছে, ততই বেড়েছে উন্মাদনা।

সন্ধ্যা নাগাদ মেদিনীপুর সার্কিট হাউসে এসে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ততক্ষণে যাত্রাপথের দু’ধারে উপস্থিত কর্মী-সমর্থকদের সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে। নতুন প্রজন্মের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। ওঠে মুহুর্মুহু স্লোগান। গাড়ি যখনই কাছে এসেছে, কর্মীরা স্লোগান দিয়েছেন, ‘লড়াই লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই।’ কর্মীদের গলায় ঝোলানো ছিল ঈঙ্গিতপূর্ণ পোস্টার, ‘মমতার সঙ্গে মেদিনীপুর’, ‘দিদি আমরা তোমার সাথে আছি’।

কলকাতা থেকে মেদিনীপুর আসার পথে প্রতিবারের মতো রাস্তায় জনসংযোগ করতে করতেই যান জননেত্রী। কোলাঘাট, ডেবরা, খড়্গপুর-হ বিভিন্ন এলাকায় তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। মেদিনীপুর শহরের জগন্নাথ মন্দির থেকে যুগনিতলা, জজকোর্ট মোড়, কেরানিতলা হয়ে সার্কিট হাউস পর্যন্ত ভিড় ঠেলে যেতে মুখ্যমন্ত্রীর দীর্ঘক্ষণ সময় লাগে। গাড়ি থামিয়ে কর্মী-সমর্থক ও সাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি।

সোমবার সকালেও একই ছবি। ইতিমধ্যেই দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম-সহ পার্শ্ববর্তী এলাকা গুলি থাকে একের পর এক মিছিল মেদিনীপুর কলেজ মাঠ অভিমুখে। যেন জেলার সব রাস্তায় মিশেছে মেদিনীপুর কলেজ মাঠে। রাস্তার দু’পাশে জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফেস্টুন-ব্যানার আর তৃণমূলের ঝাণ্ডায় ঢেকে গিয়েছে। যেন বিপ্লবের মাটিতে ফের এক বিপ্লবের প্রস্তুতি নিতে চলেছে মেদিনীপুর। নেত্রী সেই মমতাই।