কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে অবাঞ্ছিত মন্তব্য, কানাডার রাষ্ট্রদূতকে ডেকে সতর্ক করল ভারত

0
1

দিল্লির কৃষক বিক্ষোভের বিষয়ে নাক গলিয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো যে মন্তব্য করেছেন তা অবাঞ্ছিত। এই ধরনের কাজ একটি সার্বভৌম, গণতান্ত্রিক দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানোর সামিল। এর নিন্দা করছে ভারত। কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর বক্তব্যের বিরোধিতা করে কানাডার রাষ্ট্রদূতকে ডেকে এভাবেই সতর্ক করল ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। কানাডার রাষ্ট্রদূতকে বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রকৃত বিষয় না জেনে এভাবে কোনও রাষ্ট্রনেতা অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মতামত দিতে পারেন না। এই ধরনের কাজ কূটনৈতিক শিষ্টাচার ও রীতিনীতির বিরোধী। বলা হয়েছে, কানাডার প্রধানমন্ত্রী ও সেদেশের কয়েকজন সাংসদের মন্তব্যের কারণে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। এই পরিস্থিতি বাঞ্ছনীয় নয়।

প্রসঙ্গত, নয়া কৃষি আইনের বিরোধিতায় কৃষকদের দিল্লি ঘেরাও অভিযান নিয়ে আগ বাড়িয়ে মন্তব্য করেছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও তাঁর দেশের কয়েকজন সাংসদ। কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করে গুরু নানকের জন্মদিন উপলক্ষ্যে এক অনুষ্ঠানে ট্রুডো বলেন, চলতি কৃষক আন্দোলন সম্পর্কে তিনি অবহিত। যাঁরা আন্দোলন চালাচ্ছেন তাঁদের জন্য যেমন তাঁদের পরিবার পরিজনদের উদ্বেগ রয়েছে, তেমনি তিনিও আন্দোলনকারীদের কথা ভেবে উদ্বিগ্ন। ট্রুডোর কথায়, যে কোনও শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে সমর্থন করে কানাডা।

আরও পড়ুন : ভারতের বিষয়ে নাক গলিয়ে কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন কানাডার প্রধানমন্ত্রীর!

এরপরেই জাস্টিন ট্রুডোর মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া জানায় ভারত। ট্রুডোই হলেন এখনও পর্যন্ত একমাত্র বিশ্বনেতা, যিনি কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে মতামত জানিয়েছেন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনুমান, ট্রুডোর মন্তব্যের পিছনে রাজনীতি জড়িত। কারণ কানাডায় বহু সংখ্যক পাঞ্জাবি শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করেন। ঘটনাচক্রে, দিল্লির আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের সিংহভাগও পাঞ্জাবি শিখ কৃষক। ফলে ট্রুডোর মন্তব্য বিশেষ সম্প্রদায়কে তুষ্ট করার চেষ্টা হিসাবে দেখছেন অনেকে। ট্রুডোর মন্তব্যে উষ্মা প্রকাশ করে এর আগে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেছিলেন, দুর্বল তথ্যের ভিত্তিতে অবাঞ্ছিত মন্তব্য করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। ভারত এধরনের কাজ অনুমোদন করবে না।