অবশেষে মুক্তির আলো দেখতে পাচ্ছে ব্রিটেন। সেখানেই প্রথম অনুমোদন পাচ্ছে ফাইজার করোনা ভ্যাকসিন। ব্রিটেন প্রশাসন জানিয়েছে, সবচেয়ে আশঙ্কাজনক রোগীদেরই এই টিকা ব্যবহার করবে প্রথমে।
প্রথমে এই প্রতিষেধককে আশঙ্কাজনক রোগীর দেহে ব্যবহারের জন্য সবুজ সংকেত দেয় মেডিসিনস অ্যান্ড হেলথ কেয়ার প্রোডাক্টস রেগুলেটরি অথোরিটি। তারপরেই মিলল ব্রিটেনে টিকাকরণের অনুমোদন। সূত্রের খবর, ফাইজারের টিকা আগামী সাতদিনের মধ্যে গণহারে উৎপাদিত হয়ে আপৎকালীনক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য চলে আসবে। এই প্রতিষেধক ব্যবহারে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে কিনা, সে দিকে নজর রাখবে ব্রিটেন সরকার। এদিন ব্রিটেন সরকার জানিয়েছে, ব্রিটিশ সরকার নিয়ন্ত্রক সংস্থা মেডিসিনস অ্যান্ড হেলথ কেয়ার প্রডাক্টস রেগুলেটরি অথোরিটির শর্তাশর্ত মেনে নিয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে ব্রিটেনে এক কোটি ভ্যাকসিন চলে আসতে পারে।

মার্কিন ওষুধ নির্মাতা সংস্থা ফাইজার জার্মান সংস্থা বায়োএনটেকের সঙ্গে যৌথভাবে করোনা-রোধী ভ্যাকসিন তৈরি করেছে। ফাইজার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, বিশ্বের ৬টি দেশে ট্রায়াল চালিয়েছে , তাদের ভ্যাকসিনে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। কার্যকারিতারও তারতম্য ঘটেনি। ব্রিটিশ স্বাস্থ্যসচিব ম্যাট হ্যানত এই ঘটনাকে শুভ সংবাদ বলেছেন। এখন অপেক্ষা কত তাড়াতাড়ি সামগ্রিক ছাড়পত্র পেতে পারে এই ভ্যাকসিন।
একপ্রকার বলা চলে বাজারে চলে এল করোনা ভ্যাকসিন। এবার দেখার পালা, কীভাবে এই ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ প্রয়োগ করা হয়। করোনার সঙ্গে কতটা লড়তে সক্ষম ফাইজার বায়োএনটেক কোভিড-১৯ সেই দিকেই এখন তাকিয়ে গোটা বিশ্ব।
আরও পড়ুন-৩০ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দিলেই দেশে করোনার সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব, জানাল স্বাস্থ্যমন্ত্রক






























































































































