বিদ্রোহ করে ঘাসফুল শিবির ছেড়ে দিল্লি গিয়ে বিজেপিতে যোগদান করেছেন কোচবিহারের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী। এরপর লাইনে সবচেয়ে বেশি নাম যাঁর সবচেয়ে আগে আসছে, তিনি হলেন ব্যারাকপুরের বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত। যিনি আবার রাজনৈতিক মহলে শুভেন্দু অধিকারী ভক্ত বলে পরিচিত। সোশ্যাল মিডিয়ায় দলের প্রতি তাঁর ক্ষোভ-অভিমান আগেই ব্যাক্ত করেছেন শীলভদ্র। বলেছেন, আর ভোটে দাঁড়াবেন না। কিন্তু এটা বলেননি, তৃণমূল ছাড়া অন্য কোনও দলের হয়ে ভোটে দাঁড়াবেন না। সুতরাং, শীলভদ্র-এর তৃণমূল ত্যাগ শুধু সময়ের অপেক্ষা, মনে করছে রাজনৈতিক বা সংশ্লিষ্ট মহল।
বিষয়টি বুঝতে পেরে, রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী তথা উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষনেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক পৌঁছে গিয়েছিলেন তাঁর মানভঞ্জনে। তাঁর বাড়িতে। কিন্তু অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। ফলে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। হতাশ হয়ে ফিরতে হয়েছে শাসকদলের ভোট ম্যানেজারদের।
এরপরই আজ, বুধবার ফেসবুকে শীলভদ্র লিখলেন,”বন্ধু দেখা হবে…”! যা রাজনৈতিকভাবে খুব তাৎপর্যপূর্ণ ও ইঙ্গিতবাহী। শুধু তাই নয়, শুভেন্দুকে সামনে রেখে ঘোলা জলে মাছ ধরতে গিয়ে শীলভদ্র লিখলেন, “আমি শুভেন্দুর বড় ফ্যান। যা করেছে একেবারে ঠিক।”
রাজনীতি নিয়ে চর্চা করেন এমন নেটিজেনরা বলছেন, শীলভদ্র ফেসবুক পোস্ট লক্ষণীয়। কারণ, গেরুয়া টেমপ্লেটের উপরে মেসেজ লিখেছেন শীলভদ্র। স্বাভাবিকভাবে এই রং চয়ন নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। আর এই বন্ধুই বা কে? শুধু তাই নয়, ব্যারাকপুরের বিধায়ক জানিয়েছেন, ”যা বলার আগামিকাল, বৃহস্পতিবার বলব।”
আরও পড়ুন- করোনা আবহেই সোমবার থেকে বাড়ছে মেট্রোর সময়সীমা