যাবতীয় তোড়জোড় হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে স্থগিত হয়ে গেল অক্সফোর্ড ইউনিয়নের বিতর্কসভায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ। কিন্তু নেপথ্য কারণ কী?
এই বিতর্ক সভায় যোগ দেওয়ার জন্য জুলাই মাসে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীকে। প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি এই সভায় বক্তব্য রাখতেন। কিন্তু কি এমন ঘটলো যাতে বাতিল করতে হলো তার সেই বক্তৃতা দেওয়ার অনুষ্ঠান? জানা গিয়েছে, প্রায় ৬০০ প্রশ্ন এসেছিল অনলাইনে । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই প্রশ্নের উত্তর দেবেন জেনে মূলত ছাত্র-ছাত্রীরাই সেই প্রশ্ন করেছিলো। কিন্তু তাঁর শেষ পরিণতি যে এমন তিক্ত হবে তা কেউই ভাবতে পারেননি।
ভাবতে পারেনি রাজ্য প্রশাসনও।যদিও অনেকেই এর নেপথ্যে সেন্ট স্টিফেন্স এর ছায়া দেখতে পাচ্ছেন। আসলে এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। শেষ মুহূর্তে বাতিল হয়ে গিয়েছিল শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তৃতা। মুখ্যমন্ত্রী চিন সফর বাতিল হয়েছে বিদেশমন্ত্রকের অনুমতি না মেলায়। সেখানেও তিনি তার বক্তব্য তুলে ধরার আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন। দিল্লির সেন্ট স্টিফেন্স কলেজ সবার মাঝে রীতিমতো বেনজির ঘটনার সাক্ষী।
দু’বছর আগে ২০১৮-এর ১ আগস্ট ছাত্র-ছাত্রীদের দুটি সংগঠন মুখ্যমন্ত্রীর বক্তৃতার আয়োজন করেছিল এই কলেজে। নেহেরু ও গান্ধীর ভারত যে প্রকৃত ভারত, সেই বিষয়ে বক্তব্য রাখতেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু শেষ মুহূর্তে রাজনৈতিক কলকাঠিতে সেই বক্তব্য রাখার পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
বুধবারের ঘটনা সম্পর্কে রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফে ট্যুইটে লেখা হয়, ‘অক্সফোর্ড ইউনিয়নের বিতর্ক সভায় বক্তব্য রাখার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সেই অনুষ্ঠান বাতিল করে আপাতত স্থগিত করে দেন উদ্যোক্তারা। নতুন সূচি তৈরি করে তাঁরা জানাবেন।’ যতই সাফাই দেওয়া হোক না কেন, নিন্দুকেরা কিন্তু অন্য কথা বলছেন।

































































































































