আগেই জানিয়েছিলেন একুশের ভোটে তিনি দলীয় প্রার্থী হতে রাজি নন৷ মঙ্গলবারও নিজের অবস্থানে অনড়’ই রইলেন বারাকপুরের তৃণমূল বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত।
এদিন ‘টিম পিকে’-র এক প্রতিনিধিদল দেখা ও কথা বলতে যান বিধায়ক শীলভদ্র দত্তের সঙ্গে। সেই আলোচনার মূল বিষয়, ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে শীলভদ্রকে প্রার্থী হতে রাজি করানো৷ তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু এদিনও বিধায়ক টিম পিকের সদস্যদেরও স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, একুশের ভোটে তিনি প্রার্থী হবেন না৷

শুধুই নিজের অনড় অবস্থানের কথাই জানাননি, শীলভদ্র উল্টে টিম-পিকের প্রতিনিধিদের পাল্টা প্রশ্নে বলেছেন, দলের নেতারা না এসে এসব কথা আলোচনা করতে পিকের টিম কেন? সবমিলিয়ে শীলভদ্র- ইস্যুতে তৃণমূল শিবিরের অস্বস্তি বেড়েই গেলো৷
আরও পড়ুন : কৃষক বিদ্রোহ সামাল দিতে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে রাজনাথ-নাড্ডা-তোমর
প্রসঙ্গত, গত অক্টোবরে বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত বলেছিলেন, আগামী ভোটে তিনি আর দাঁড়াবেন না৷ সেদিন তিনি বলেছিলেন, “২০২১-এ বারাকপুরে নতুন প্রার্থী আসবে। কাজ করবে। ১০ বছর আমি আপনাদের সঙ্গে থেকেছি। যা করতে পারিনি, তা আমার ব্যর্থতা বলেই মনে করি।” তার আগে ফেসবুকে তিনি লিখেছিলেন, “ভালো নেই”। নভেম্বরের শুরুতেই দলীয় নেতৃত্বের উদ্দেশে সরাসরি তোপ দেগে তিনি বলেন,”একটা বাজারি কোম্পানি টাকা নিয়ে ভোট করাতে আসছে। তারা আমাকে বলছে, আপনাকে ভোট নিয়ে ভাবতে হবে না। ভোট আমরা করাব। আমাকে রাজনীতির জ্ঞান দিচ্ছে। ৯-১০ বছর বয়স থেকে রাজনীতি করছি। এই পরিবেশে আর মানিয়ে নিতে পারছি না। রাজনীতিতে সম্মান অনেক বড়। আমিও কিন্তু অনেকের মতই সিঁড়ি ভেঙে এখানে এসেছি।”

বিধায়ক শীলভদ্র এদিনই পরে জানান, “আমার কাছে ওরা জানতে এসেছিল, আমি কেন প্রার্থী হতে চাইছি না ? আমি যেটা পাবলিকলি বলেছি, সেই একই কথা বললাম। সেই কথা থেকে পিছিয়ে আসার কোনও জায়গা আর নেই। তেমন কোনও কারণও এখনও পর্যন্ত ঘটেনি।”
একইসঙ্গে এদিনও শীলভদ্র ফের স্পষ্ট ভাষায় পিকের টিমের বিরুদ্ধে তাঁর অসন্তোষের কথা জানান। বলেছেন, “পিকের টিমের কাজকর্ম আমার আগেও পছন্দ হয়নি, এখনও হচ্ছেনা।”

পাশাপাশি শীলভদ্র দত্ত বলেছেন, “পলিটিক্যাল লিডাররা এলে অনেক ভালো হত। পলিটিক্যাল কর্মীরা এলেও অনেক ভালো হত। আলোচনার ক্ষেত্র ছিলো৷ তবে এটা ওদের ব্যাপার। দল দায়িত্ব দিয়েছে, তাই পিকের টিম এসেছে।” এদিন শীলভদ্র বারাকপুরের মানুষের পাশে থাকার প্রশ্নে বলেছেন, “তৃণমূলের হয়ে দাঁড়ালেই সবাই সঙ্গে আছে, আর না দাঁড়িয়ে সাধারণভাবে কাজ করলে মানুষ সঙ্গে নেই, এমন কেন হবে? কখনই তেমন নয়। যতদিন বাঁচবো, আমিও বারাকপুরের মানুষের সাথেই থাকবো”৷



































































































































