বিজেপি নারী–সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ, আসছে তৃণমূলের ‘বঙ্গজননী’

0
3

বিজেপি নারী–সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ। তৃণমূলের ‘‌বঙ্গজননী’‌ ১২ ডিসেম্বর থেকে বাংলার সব জেলায় শুরু করছে সম্মেলন। কর্মসূচিতে মানা হবে কোভিড বিধি। ১২ ডিসেম্বর হাওড়ায় সম্মেলন।

বঙ্গজননী–‌র সভাপতি কাকলি ঘোষদস্তিদার বলেন, ‘‌বঙ্গজননীতে রয়েছে ৫৫ হাজার মহিলা সদস্য। এই মহিলা বাহিনী তৈরি করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু বঙ্গজননী নয়, তিনি আরও একটি বাহিনীও তৈরি করেছেন। নাম জয় হিন্দ বাহিনী। বিভিন্ন জেলায় সম্মেলনে উপস্থিত থাকবে কাকলি। মহিলাদের জন্য বিজেপি কিছু করতে পারেনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১১–‌র পর থেকেই মহিলাদের জন্য প্রচুর কাজ করেছেন। আগামী দিনে আরও কাজ হবে। বঙ্গজননী–‌র মহিলা সদস্যরা খুব শৃঙ্খলাপরায়ণ। করোনার সময় আশা–‌কর্মীদের সঙ্গে বঙ্গজননী–র সদস্যরা বাড়ি–‌বাড়ি ঘুরেছেন। কালীপুজোর সময় প্রদীপ পৌঁছে দিয়েছে বাড়ি বাড়ি। আমাদের নেত্রী রাজনীতির পাশাপাশি সমাজসেবামূলক কাজের জন্যই এই বঙ্গজননী বাহিনী তৈরি করেছেন। প্রত্যেকেই হোয়াট্‌সঅ্যাপ গ্রুপে রয়েছেন। বিজেপি ও আরএসএস–‌এর কাউন্টার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মৌলবাদী ধ্যানধারণা চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে বঙ্গজননী–‌কে রুখে দাঁড়াতে হবে।’‌

তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের সভাপতি চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘‌২৮ নভেম্বর থেকে আমাদের মহিলারা জেলায় জেলায় ঘুরছেন। আমিও যাচ্ছি। আমরা সরকারের উন্নয়ন নিয়ে প্রচার করছি। মুখ্যমন্ত্রী মহিলাদের যে–সম্মান দিয়েছেন, তা অন্য কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দিতে পারেননি। পশ্চিমবঙ্গ নারীদের সুরক্ষার জায়গা। আমাদের রাজ্যের নেতৃত্ব বিভিন্ন জেলায় মিটিং করছেন। তবে মাইক্রোফোন থাকছে বাইরে থাকছে। অনেকেই তা শুনছে। মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনে মহিলাদের দাঁড়াবারও সুযোগ করে দিয়েছেন। ২০১৬–র বিধানসভা নির্বাচনে বহু মহিলা প্রার্থী হয়েছেন।’

কিন্তু ভোট ময়দানে এই নতুন বাহিনী কেন? লক্ষ্য সব স্তরের মহিলা ভোটার। মহিলাদের সঙ্গে পারিবারিক যোগাযোগ তৈরি করতে গত সেপ্টেম্বর থেকে প্রস্তুতি নিয়েছে এই বাহিনী।

আরও পড়ুন-নবান্নে মমতা- ত্বহা সিদ্দিকি বৈঠক, রাজনৈতিক মহলে তুমুল জল্পনা