যেমনটি মনে করা হচ্ছিল, জল সেদিকেই গড়ালো। আপাতত জল্পনার অবসান। সরকারি নিরাপত্তার পর এদিনই মন্ত্রিত্ব থেকেও পদত্যাগ করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। সম্প্রতি, তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর দূরত্বের বিষয়টি নিয়ে বেশ টানাপোড়েন চলছিল। রাজ্য-রাজনীতির কেন্দ্র বিন্দু হয়ে গিয়েছিল এই বিতর্ক। শুভেন্দু অধিকারি কি দল ছাড়ছেন? অবশেষে আজ, শুক্রবার দুপুরে ঘোষণা করে দিলেন শুভেন্দু নিজেই। এখনও দল না ছাড়লেও ইস্তফা দিলেন মন্ত্রিত্ব থেকে।
পরিবহণ ও সেচ এই দুই বড় দফতরেরর দায়িত্ব ছিল তাঁর। সেই দুই পদ থেকেই তিনি পদত্যাগ করলেন। আজ, শুক্রবার চিঠি দিয়ে একথা জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে । চিঠিতে তিনি লিখেছেন, “রাজ্যের মানুষের সেবা করার সুযোগ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।” তবে সূত্রের খবর, এখনই বিধায়ক পদ ছাড়ছেন না শুভেন্দুবাবু। মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি রাজ্যপালকেও এই পদত্যাগপত্রের প্রতিলিপি ই-মেল করে দিয়েছেন। এবং রাজ্যপাল সেই ইমেলের প্রাপ্তি স্বীকারও করেছেন।
শুভেন্দু অধিকারির পদত্যাগ বিষয়ে এবার মুখ খুললেন তাঁর বাবা তথা তৃণমূলের মেদিনীপুর জেলা সভাপতি শিশির অধিকারি। তিনি জানান, “বহু দিন ধরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দল করছি। সুতরাং আমার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের উপর সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে।”
আরও পড়ুন:ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে বিধ্বংসী ব্যাটিং ফ্রিঞ্চ স্মিথের
আজ এর কিছু আগেই তিনি তাঁর সমস্ত রকম সরকারি নিরাপত্তাও ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। পরিবহণমন্ত্রী হিসেবে তিনি জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পেতেন। পাশাপশি, তিনি হলদিয়া ডেভেলপমেন্ট অথরিটি চেয়ারম্যান পদ থেকেও পদত্যাগ করেছেন। অন্যদিকে, শুভেন্দু অধিকারির পদত্যাগের বিষয়ে তাঁর ভাই তথা তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারি জানান, “এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ ওঁর (শুভেন্দুর) ব্যক্তিগত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে বিধায়ক বানিয়েছেন। পাঠিয়েছেন সংসদেও। তাই আমার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল সরকারের উপর সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে।”