করোনা টিকা তৈরি কদ্দূর? অগ্রগতি জানতে মোদি যাবেন সেরাম ইনস্টিটিউট

0
2

শীতকাল পড়তে না পড়তেই গোটা বিশ্বে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু। ব্যতিক্রম নয় ভারতও। বিশ্বের বহু দেশকেই বাধ্য হয়ে আবার লকডাউনের পথে হাঁটতে হচ্ছে। এদেশেও আটটি রাজ্যে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় উদ্বেগে কেন্দ্র। এই পরিস্থিতিতে সকলের প্রশ্ন একটাই, কবে পাওয়া যাবে করোনা প্রতিষেধক ভ্যাকসিন বা টিকা? ভারতে দেশিয় প্রযুক্তিতে তৈরি কয়েকটি ভ্যাকসিনের ট্রায়াল যেমন চলছে তেমনই অক্সফোর্ড- অ্যাস্ট্রাজেনেকার যৌথ উদ্যোগে করোনার ভ্যাকসিন ‘কোভিশিল্ড’ এদেশে উৎপাদন করবে পুণের বিখ্যাত সেরাম ইনস্টিটিউট। সব কিছু ঠিকঠাক চললে নতুন বছরের শুরুতেই এই ভ্যাকসিন বাজারে আসার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন সেরামের কর্ণধার আদর পুণাওয়ালা। তবে ভ্যাকসিনটি ঠিক কোন সময়ে এদেশের বাজারে পাওয়া যাবে সেবিষয়ে এখনও স্পষ্ট উত্তর নেই কারও কাছে। এবার সেই উত্তর খুঁজতেই সেরাম ইন্সটিটিউটে নিজে যাবেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। করোনা টিকা বানানোর কর্মকাণ্ড ঠিক কোন পর্যায়ে রয়েছে তা নিজে গিয়ে খতিয়ে দেখবেন মোদি। কথা বলবেন সেখানকার বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে।

জানা গিয়েছে, আগামী ২৮ নভেম্বর পুণের সেরাম ইন্সটিটিউটে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণার অগ্রগতি এই মুহূর্তে ঠিক কোন পর্যায়ে রয়েছে, তার কার্যকারিতা ঠিক কতটা হতে পারে, সে বিষয়ে গবেষকদের সঙ্গে নিজে কথা বলে অবস্থা বোঝার চেষ্টা করবেন মোদি।

সেরামের কর্ণধার আদর পুণাওয়ালার দাবি, তাঁদের তৈরি ভ্যাকসিনটির প্রথম ডোজ ৯০ শতাংশ কার্যকর। ওই ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজটি করোনাকে কাবু করতে ৬২ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকর। সব মিলিয়ে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও সেরাম দুপক্ষেরই দাবি, তাঁদের তৈরি ‘কোভিশিল্ড’ করোনার মোকাবিলায় প্রায় ৭০ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকর। গত কয়েক মাসে ‘কোভিশিল্ড’ নিয়ে দেশের সর্বস্তরে আশা বেড়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. হর্ষ বর্ধনও আশার কথা শুনিয়েছেন। যদিও ভ্যাকসিনটি ঠিক কবে নাগাদ বাজারে আনা হবে সে বিষয়ে এখনও স্পষ্ট কোনও উত্তর নেই কারও কাছেই। এবার খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যাবেন সেরামে। গবেষকদের সঙ্গে ভ্যাকসিন তৈরির অগ্রগতি নিয়ে কথা বলবেন।

আরও পড়ুন- শুক্রবার আইএসএলের প্রথম ডার্বি, তিন পয়েন্ট পাখির চোখ হাবাসের