রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করার দাবি কল্যাণের

0
1

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করার দাবি জানালেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি বলেন, ‘কোনও ব্যক্তি যদি ফৌজদারি তদন্তে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন বা অপরাধীদের বাঁচানোর চেষ্টা করেন, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৬ এবং ১৮৯ ধারায় মামলা শুরু করা যায়৷’
আসলে দিনকয়েক ধরে গরুপাচার ও কয়লা কাণ্ডে সুর চড়িয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। সুদীপ্ত রায়চৌধুরী এবং গোবিন্দ আগরওয়ালকে গ্রেফতারির বিরোধিতায় একের পর এক টুইট করেছেন তিনি। সেই ইস্যুতে তৃণমূল সাংসদের অভিযোগ,
অপরাধীদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে রাজ্যপালের । তাই অপরাধীদের গ্রেফতার করায় তার বিরোধিতা করে ট্যুইট করেছেন তিনি৷ পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টাও করছেন৷
বৃহস্পতিবার রাজ্যপালকে নিশানা করে তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে
কল্যাণের দাবি, গোবিন্দ আগরওয়াল এবং নীরজ সিং এর বিরুদ্ধে ইডি প্রথম মামলা দায়ের করে৷ পিএমএলএ অ্যাক্টে অভিযুক্তদের ৩.৮৮ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করে৷ এর পর ইডি-র থেকে তদন্তের কাগজপত্র সংগ্রহ করে আরও তদন্ত করে কলকাতা পুলিশ৷ ২১ নভেম্বর গোবিন্দ আগরওয়ালকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ৷ অন্যান্য আরও চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের নামও তদন্তে উঠে আসে৷
কল্যাণ আরও দাবি করেন, এই তদন্তেই সুদীপ্ত রায় চৌধুরী নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে সিবিআই-এর কাছ থেকে তথ্য পায় কলকাতা পুলিশ৷ তাকেও গ্রেফতার করা হয়৷
তৃণমূল সাংসদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি-র অভিযোগের ভিত্তিতেই পদক্ষেপ করেছে কলকাতা পুলিশ ও বিধাননগর পুলিশ৷ এমনকি, এই সুদীপ্ত রায় চৌধুরী ইডি-র ভুয়ো তথ্য দেখিয়েও টাকা তুলত বলে অভিযোগ কল্যাণের৷
সাংসদের প্রশ্ন , ‘ইডি যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে, তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত করার জন্য কেন বাধা দিচ্ছেন রাজ্যপাল? বার বার তিনি সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে টার্গেট করছেন৷ রাজ্যপাল মূল অভিযুক্তদের সাহায্য করার চেষ্টা করছেন৷ তদন্তে বাধা দেওয়ার এবং প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন৷’
তাঁর দাবি, পুলিশ আধিকারিকদের যেভাবে হুমকি দিচ্ছেন রাজ্যপাল, তাও অপরাধের সামিল৷ রাজ্যপালের বিরুদ্ধে এই ধারাতেও মামলা করার দাবি জানিয়েছেন কল্যাণ৷ তাঁর অভিযোগ, ট্যুইট করে কলকাতা এবং বিধাননগর পুলিশকে অকেজো করার চেষ্টা করছেন রাজ্যপাল৷ পুলিশকে হুমকিও দিচ্ছেন তিনি৷ এটা তাঁর সাংবিধানিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না৷