সোমবার সন্ধ্যায় মালদার মানিকচকে লঞ্চ উল্টে দুর্ঘটনা। গঙ্গায় পড়ে যায় পরপর আটটি লরি। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ প্রায় ২০ জন। পুলিশ সূত্রে খবর, নিখোঁজদের মধ্যে লরিচালক, খালাসি-সহ কয়েকজন যাত্রীও রয়েছেন। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মী ও দমকল বাহিনী। ওই এলাকায় উদ্ধারকাজ শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।


জানা গেছে ঝাড়খন্ডের রাজমহল থেকে মালদা আসছিল ওই লঞ্চটি। প্রায় দশটি লরি ওই লঞ্চ ছিল বলে জানা গিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মানিকচক ঘাট থেকে একটি অস্থায়ী সেতুর মাধ্যমে ওই লঞ্চটি ফেরিতে ওঠার সময় দুর্ঘটনা হয়। ১০টির মধ্যে আটটি লরিই উল্টে একের পর এক গিয়ে পড়ে গঙ্গার জলে।
আরও পড়ুন : রোজভ্যালির ৬ কোটির গাড়ি বিক্রি করতে চেয়ে আবেদন


লঞ্চ দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে জড়ো হন এলাকাবাসী। ঘটনাস্থলে আসেন জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র ও মালদা পুলিশ সুপার আলোক রাজোরিয়া। পুলিশ জানিয়েছে, গঙ্গার এই ঘাটে ঝাড়খণ্ডের সঙ্গে প্রতিদিন লঞ্চফেরি পরিষেবা চলে। এদিন ঝাড়খণ্ড থেকে মালদার মানিকচক ঘাটে এসেছিল স্টোনচিপস বোঝাই ওই লরিগুলি। গঙ্গার ঘাটে লঞ্চটি লাগার মুখে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে সেটি। লঞ্চের পিছন দিকের একটি অংশের যন্ত্রাংশ বিকল হয়ে পড়ে। লঞ্চটি ডুবতে শুরু করে।


পুলিশ জানিয়েছে, ঘাটের অস্থায়ী সেতু থেকে বার্জটি পড়ে যাওয়ার পর দু’টি লরি কোনওরকমে উপরে ভেসে নদীর পাড়ে এসে ঠেকেছে। তবে সেগুলির অনেকাংশই দুমড়েমুচড়ে গিয়েছে। দুর্ঘটনার সময় ওই লরিতে থাকা অনেকেই গঙ্গায় পড়ে গেলেও তাঁদের মধ্যে কয়েকজন সাঁতরে পাড়ে উঠে আসতে পেরেছেন। বাকিদের খোঁজে ওই ঘাট সংলগ্ন এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। রাত পর্যন্ত আট জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এখনও নিখোঁজ ১২ জন।




































































































































